প্রতিদিনই কমছে পানি। ইতিমধ্যে পানি নেমে গেছে অনেক এলাকা থেকে। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বন্যা আঘাত হেনেছে বাংলাদেশে। মানুষের দুঃখ দূরদশা যেন দরজার কড়া নেরেই যাচ্ছে।করোনা ভাইরাসের কারনে তারা ঘর বন্দি মত জীবন, তার মধ্য অতিরিক্ত বন্যায় বাড়ি ঘর রাস্তা ঘাট ডুবে যায়। মানুষের জীবন এখন থমকে যাওয়ার মত,News39 দোহারের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম ঘুরে দেখি ও মানুষের দুর্বিষহ হাহাকার উঠে আসে।
এবারের বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে দোহারের অধিকাংশ অঞ্চল বিশেষ করে পদ্মা তীরবর্তী এড়িয়া গুলোতে বন্যা ধারন করেছিল ভয়ানক রুপ। বন্যাত পানিতে ডুবে গিয়েছে অনেক রাস্তা। পানি নেমে গেলেও ক্ষতবিক্ষত রাস্তাগুলো এখনো বয়ে চলছে বন্যার স্মৃতি। মাহমুদপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর সহ চরলটাখোলা রাস্তা ভেঙ্গে খানাখন্দ হয়ে আছে,জয়পাড়া থেকে কার্তিকপুর মৈনট ঘাট যাওয়ার এক মাত্র বাইপাস রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে প্রায় দৈনিক হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে,ট্রাক,মাইকো,সিনজি,রিক্সা,ভ্যান,মটর সাইকেল।দুর্বিষহ মানুষ গুলো অসহায় ও হতাশায় ভুগছে।তারা যাতায়াত ঠিক মত করতে পারছে না।কাচাবাজার ও হাটবাজার করতে কষ্ট করতে হয়। গাড়ি চালকরাও নতুন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
চরলটাখোলা এক স্থায়ী বাসিন্দা মজম মাদবর বলেন,আমরা এলাকা বাসি খুব কষ্টের মধ্যে আছি, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে,বন্যার পানিতে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় আমরা যাতায়াত করতে পারছিনা,১০থেকে ১২ ধরে পানি নেমে গেলেও এলাকা বাসির জন্য কিছুই করছে না চেয়ারম্যান।
একজন অটো চালক রফিক বলেন,যান চলাচলের জন্য উপজেলা প্রশাসন কে অনুরোধ করেছেন যেন রাস্তা গুলো দুরত মেরামত করা হয়।
মাহমুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব তোফাজ্জল হোসেন বলেন,রাস্তা মেরামতের জন্য আবেদন করতেছি,কোথাও কোন বরাদ্দ না থাকায় মানুষের কষ্ট ও দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছ।তাই এখন সময়ের ব্যাপার,এই মহুর্তে করার মত কিছু নাই।