দোহারে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকিতে সেলাই মেশিন বিতরন

176
দোহারে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকিতে সেলাই মেশিন বিতরন

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানটি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য সরাসরি দেখার সুযোগ করে দেন দোহার উপজেলা নিবাহী অফিসার এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ। পরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ের নারীদের স্বাবলম্বি করতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার রহিমা বেগমের সভাপতিত্বে ৬ জনকে ৬টি সেলাই মেশিন বিতরন করা হয়।

আজ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোহার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর হোসেন। তিনি তার বক্তব্য  বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালোরাতে তিনি জাতির পিতার হত্যাকারীদের হাতে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেন। বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব কেবল একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিণীই ছিলেন না, তিনি বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে অন্যতম এক নেপথ্য ছিলেন। বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন প্রাণপ্রিয় স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে।

অন্য খবর  দোহারে বিপুল পরিমাণে মাদক উদ্ধার

এরপর  ইউএনও ফিরোজ মাহমুদ বলেন, আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো’বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ ত্যাগ ও সুন্দরের সাহসী প্রতিক। জীবনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব। এজন্য অনেক কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাকে।  বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ছয়-দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারে বারে পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবন যাপন করছিলেন, তখন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী বঙ্গমাতার কাছে ছুটে আসতেন, তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা বুঝিয়ে দিতেন এবং লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাতেন। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

আপনার মতামত দিন