বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)এর প্রতিষ্ঠাতাকালীন স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা বলেছেন, আবার ক্ষমতায় গেলে আমার হাত দিয়েই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করা হবে। আমি পদ্মা সেতুর জন্যে জমি অধিগ্রহন করেছিলাম। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় না আসার কারনে এবং বর্তমান সরকারের পদ্মা সেতু নিয়ে একের পর এক দূর্নীতির কারণে পদ্মা সেতু করতে পারেনি। অথচ পদ্মা সেতুর নির্মান কাজ ২০০৮ সালে শুরু হয়ে ২০১২ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
১১আগষ্ট রবিবার বিকালে ঢাকার দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের শিলাকোঠা বাংলাবাজারে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। তিনি উপজেলার ১৯টি স্থানে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ও ১টি শোক সভায় বক্তব্য রাখেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে বৃষ্টি অপেক্ষা করে শত শত মানুষ অংশগ্রহন করেন।
নাজমুল হুদা বলেন, এই অঞ্চল আমার ঘাটি। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন আমাকে ছাড়া দোহার-নবাবগঞ্জে কেউ ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে আপনাদের সামনে আসতে পারবে না। একটি মহল আমাকে নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। তাদের সব কিছুর জবাবই দিব আমি যেদিন ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে আসব। ধানের শীষ আমার প্রতিক, দলের প্রতিক ও দেশের প্রতিক। আগামীতে দোহার উপজেলা বিএনপিকে আরো সংগঠিত ও ঐক্যবধ্য করে গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরো বলেন বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর আমার সকল ওয়াদা পূরন করতে পেরেছি। শুধু মাত্র একটি ইচ্ছা আমার আগামীতে আমি দোহারে গ্যাস লাইন চালু করবো। দোহার কে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ এবং মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।
হুদা বলেন, ক্ষমতায় গেলে যে সকল কৃষক ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ দোহারের পদ্মার ভাঙ্গনের কবলে যারা কৃষি জমি হারিয়েছেন তাদের কৃষি ঋণ মওকুফ করা হবে। পদ্মার ভাঙ্গন থেকে দোহার উপজেলাকে রক্ষা করার জন্যে স্থায়ী ভাবে বাধ দেয়া হবে। প্রয়োজন হলে বিদেশ থেকে প্রকৌশলী এনে পদ্মা রক্ষার জন্যে ব্যবস্থা গ্রহান করা হবে।
নাজমুল হুদা দোহারবাসীকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কামরুল হুদা, দোহার উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মেসের, বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম চেয়ারম্যান, আব্দুল ওয়াহেদ মেম্বার, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন-সম্পাদক জাহাঙ্গীর বেপারী, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ, দোহার উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন হিটু মোল্লা, দোহার উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবুল হাসেম, সাধারন সম্পাদক জিএস সেন্টু ভূইয়া, জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফ আলী খাঁন, শাখাওয়াত হোসেন বিদ্যুৎ, ছাত্রনেতা জুলহাস উদ্দিন, যুবদল নেতা লূৎফর শিকদার, আয়নাল হক মেম্বার, মোন্নাফ মন্ডল, নূরুল ইসলাম মেম্বার, মোশারফ হোসেন বেপারী, শহিদুল ইসলাম শিকদার, আবুল বাশার বিশ্বাস, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রতন, ছাত্রনেতা এটিম ফেরদৌস, যুবনেতা মজিবর, খালেক প্রমুখ।