এক দশক আগেও যেখানে ছিল ঘর বাড়ি হারানোর কান্না। পদ্মার করাল গ্রাসে যেখানে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে হাজারো মানুষ। সেই পদ্মার পাড় এখন দর্শনার্থীদের নজর কারছে। ছুুটির দিনগুলোকে ভ্রমণ পিপাসুদের ভীড় থাকে চোঁখে পড়ার মতো। এবারের ঈদ ও ঈদের ছুটিতে তেমনটি হয়েছিল দোহারের বাহ্রাঘাট এলাকায়।
প্রিয়জন কিংবা পরিবার নিয়ে একদিনেই ঘুরে আসার মতো জায়গা দোহারের বাহ্রাঘাট ( মিনি পতেঙ্গা)। দিন দিন স্থানটি ‘মিনি পতেঙ্গা’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। পদ্মার উত্তাল ঢেউ আর সূর্যাস্তের দৃশ্য মুহূর্তগুলোকে আরও রঙিন করে তোলে। পাল তোলা নৌকার দৃশ্য মনে জানান দিবে প্রকৃতির অসীম সৌন্দর্যের কথা। এখানে ঘুরতে আসলে যে কেউ হারিয়ে যাবে পদ্মার জলরাশির টানে। ঢাকা থেকে খুব কাছে হওয়ায় দিন দিন স্থানটি দেখতে ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে এই ‘মিনি পতেঙ্গা’।
সুযোগ পেলে যে কেউ পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন স্থানটিতে। দিনে এসে আবার দিনেই ফিরতে পারবেন আপনার গন্তব্যে। ছুটির দিনে মানুষের উপস্থিতি থাকে চোঁখে পড়ার মতো। বিশেষ দিবস গুলোতেও নদীর পাড় জুড়ে ভ্রমণ পিপাসুদের থাকে সরব উপস্থিতি। এই মিনি পতেঙ্গাকে কেন্দ্র করে আশপাশে গড়ে উঠেছে হোটেল সহ বিভিন্ন দোকান। মিনি কক্সবাজারের মতো এখানেও উপভোগ করতে পারবেন প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য। ঢাকার গুলিস্থান থেকে প্রায় ৫৬ কি.মি. দূরে এটি অবস্থিত। আপনিও ঘুরে আসতে পারেন আপনার ছুটির দিনে। জানেন তো, মৈনট ঘাটকে ‘মিনি কক্সবাজার’ আর বাহ্রাঘাট পরিচিত ‘মিনি পতেঙ্গা’ নামে! অনেকেই এবারের ঈদের ছুটিতে ভিড় করেছেন এসব স্থানে।
গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার ঈদে ভ্রমণপিপাসুদের ভীড় ছিল ভিন্ন রকম। কয়েক বছর ঘরবন্দি ঈদ করেছে সবাই। এ বছরই সুযোগ হয়েছে পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমণ করার। তাই ঈদের দিন থেকেই ভীড় বাড়তে থাকে স্থানটিতে। পদ্মার পাড় জুড়ে জেলেদের সারি সারি নৌকা আর জলরাশির ঢেউ যে কাউকে মুগ্ধ করবে নিমিষেই।
ভ্রমণ করার জন্য রয়েছে ট্রলার। অল্প খরচেই খুব স্বাচ্ছন্দভাবে এই ট্রলার নিয়ে পুরো পদ্মা ভ্রমণ করতে পারবেন। এছাড়াও আছে স্পিড বোটে পদ্মা ভ্রমণের সুযোগ।
যেভাবে যাবেন মিনি পতেঙ্গায় : ঢাকার গুলিস্থান থেকে বাসে সেখানে যেতে সময় লাগে মাত্র আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। গোলাপশাহ মাজার থেকে দোহারের মৈনট ঘাটে সরাসরি বাসে যেতে জনপ্রতি ভাড়া ১০০ টাকা হলেও ঈদ কেন্দিক একটু বেশী ভাড়া।
ঢাকার বসিলা ব্রিজ পার হয়ে কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া, আটিবাজার হয়ে নবাবগঞ্জ চৌরঙ্গী পেড়িয়ে দোহারের কার্তিকপুর বাজার থেকে বামে গেলে মৈনট ঘাট। তারপর সোজা গেলে বাহ্রাঘাট। আবার বাবুবাজার ব্রিজ পার হয়েও পৌঁছানো যায় একই গন্তব্যে।