বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়েই নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনের আগে তার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
বুধবার (২৫ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স ‘চেতনায় বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চেতনায় বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের আয়োজিত রি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চেতনায় বাংলাদেশের সভাপতি ও দোহার উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা রাহিম।
মওদুদ আহমদ বলেন, নির্বাচনের সময় নির্দলীয় সরকার থাকতে হবে যাদের নির্বাচনের ফলাফলে তাদের কোনো স্বার্থ থাকবে না। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে, তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি দিতে হবে। আর নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। খুলনা ও গাজীপুরে এখনকার নির্বাচন কমিশন প্রমাণ করেছে তাদের দিয়ে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আগামী তিনটি সিটি নির্বাচনেও সেটা প্রমাণিত হবে।
বড় পুকুরিয়া কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনা ‘ভোটারবিহীন সরকারের ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ’ মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, হঠাৎ করে আবিষ্কার হলো, কয়লা উধাও হয়ে গেছে, আকাশে মিশে গেছে। এর চাইতে বড় কেলেঙ্কারি আর কিছু হতে পারে না। আজকে দেশে সত্যিকারের জবাবদিহিমূলক সরকার থাকলে প্রতিটি ইস্যুতে তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হতো। অন্য কোনো গণতান্ত্রিক সভ্য দেশ হলে এ ঘটনায় সরকার পদত্যাগ করে চলে যেত।
সাবেক আইনমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, আজকে দেশে আইনের প্রয়োগ দুই রকমের। সরকারি দল যারা করেন তাদের বিরুদ্ধে আইনের প্রয়োগ হয় না। আর যারা সরকারের বিরোধিতা করেন, তাদের বিরুদ্ধে সেই আইনের অপপ্রয়োগ করা হয়। আমরা যারা বিরোধী দল করি, তারা এখন দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। আর সরকারি দল যারা করেন তারা প্রথম শ্রেণির নাগরিক।
আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে তার ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি সরকারের সমালোচনা করেন, এটাই তার অপরাধ। এই আক্রমণ বাকস্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, সংবাদপত্রের ওপর আক্রমণ। শফিক রেহমান, আসিফ নজরুলসহ আরও কয়েকজনের নাম আজকে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। তারাই মাত্র কয়েকজন আছেন। বাকিরা শেষে হয়ে গেছেন। বুদ্ধিজীবী বলে যারা আগে দাবি করতেন, তারা শেষ হয়ে গেছেন। তারা এখন সেবাদাসে পরিণত হয়েছেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শামীমা রহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, মুক্তিযোদ্ধা দলের আবুল হোসেন, কৃষক দলের শাহজাহান মিয়া সম্রাট, জাহাঙ্গীর আলম, নাগরিক দলের সভাপতি সৈয়দ ওমর ফারকসহ অন্যরা।