আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কস্থ ‘সোসাইটি ফর ফরেন কন্সালস’ বিশিষ্ট নারীদের সংবর্ধনা প্রদান করেছে। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কনস্যুলেট জেনারেলসমুহ একইসাথে তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।
‘কম্যুনিটিতে নারী নেতৃত্বের স্বীকৃত’-স্লোগানে অনুষ্ঠানটি নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানস্থ চেক প্রজাতন্ত্রের কনস্যুলেট অফিসের বোহেমিয়ান ন্যাশনাল হলে আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কনস্যুলেট এই আয়োজনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। বিশেষত সরকার, বাণিজ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এবং দৃশ্যমান অবদানের জন্য অংশগ্রহণকারী ১৮টি দেশের বিশিষ্ট নারীদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের সুপারিশক্রমে শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্যুনিটিতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয় ‘খান’স টিউটরিয়াল’-এর চেয়ারপার্সন নাইমা খানকে। প্রত্যেক দেশের মনোনীত প্রার্থীকে স্ব স্ব দেশের কন্সাল জেনারেল এবং সোসাইটির সভাপতির উপস্থিতিতে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রত্যেক নমিনি তার কর্মক্ষেত্রের উপরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির পরিচায়ক হস্তশিল্প সামগ্রীসহ অন্যান্য উপাদান দিয়ে সুসজ্জ্বিত স্টলে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার স্থান পায়, যা বিপুলসংখ্যক বিদেশী অতিথির দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরার অংশ হিসেবে দেশাত্মবোধক গানের সাথে একটি দৃষ্টিনন্দন দলীয় নৃত্য উপস্থাপন করে নিউইয়র্কস্থ ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পারফরমিং আর্টস’ (বিপা) এর শিল্পীবৃন্দ। বিভিন্ন দেশের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক পর্বটি অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ করে।
বহুজাতিক এ সাংস্কৃতিক উৎসবে মার্কিন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কূটনীতিক ও সুশীল সমাজের সদস্যদের কাছে বাংলাদেশের বিশেষ করে প্রবাসী বিশিষ্ট নারীদের অবদানসহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার ও সংস্কৃতি উপস্থাপনের সুযোগ ঘটে। কন্সাল জেনারেল মোঃ শামীম আহসান, এনডিসি, তাঁর স্ত্রী পেন্ডোরা চৌধুরী, কনস্যুলেট জেনারেল এর কর্মকর্তা, কর্মকর্তাদের স্ত্রী এবং কর্মচারীবৃন্দও এতে উপস্থিত ছিলেন।
১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘সোসাইটি ফর ফরেন কন্সালস’-হচ্ছে নিউইয়র্কভিত্তিক কনস্যুলেট, কনস্যুলেট জেনারেল এবং অনারারি কনস্যুলেটগুলোর সমন্বয়ে গঠিত হয় বিশ্বের বৃহত্তম কনস্যুলার কোর