বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা বৃহস্পতিবার আগামী নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের অর্ন্তবতী সরকারের কাঠামো পদ্ধতি নিয়ে নতুন রূপকল্প দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে শহীদ জিয়ার চেতনা ও নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনায় তিনি বলেন “ বর্তমান সরকার পরবর্তী নির্বাচনের জন্য অর্ন্তবতী সরকারের কথা বলছে। এর দাবী হিসাবে তারা অর্ন্তবতী সরকারের প্রধান হিসাবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কথা বলছে। আর তাই সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে আমার মত হচ্ছে অর্ন্তবতী সরকার গঠন করা হবে বিরোধী দল ও সরকারী দল মিলে। সেক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বিরোধী দলের হাতে থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, এর ফলে অন্তর্বতী কালীন সরকার নির্বাচনের সময় তাদের প্রভাব খাটাতে পারবে না এবং নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন হবে।
তিনি দুই নেত্রীর সংলাপ সম্পর্কে বলেন বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই নেত্রীর সংলাপ অবস্যম্ভাবী হয়ে গেছে। তাদের অবিলম্বে দেশ বাচাতে সংলাপ করা উচিত। বাংলাদেশের জনগন এই সংলাপের অপেক্ষায় আছে।
তবে হঠাৎ হঠাৎ নাজমুল হুদার এই ধরনের আচরণ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকারে চলমান বিরোধী দল দমননীতি থেকে বাঁচার কৌশল। একই সাথে নাজমুল হুদার চলমান মামলা থাকায় তা থেকে অব্যহতি পাওয়ারও কৌশল এটি হতে পারে।
আবার অনেকের মতে, একজন প্রাজ্ঞ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসাবে নিজে ও দলীয় নেতা কর্মীদের আগামীর সহিংসতা পূর্ণ রাজনীতির শংকা থেকে নিরাপদ রাখতে তার আগে ভাগেই এক ধরনের সাবধানতা অবলম্বন।
সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা বিগত কয়েক মাস ধরেই দুই নেত্রীর সংলাপের ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য ও মন্ত্যব্য করে সংবাদ মাধ্যমের আলোচনায় আছেন। এর আগে ২৩ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনকে আল্টিমেটাম দেন যে ৫ জুনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনায় না বসতে রাজি হলে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করবেন। একই সাথে পরবর্তীতে তিনি নিজ বাড়ী দোহারের শাইনপুকুরে নেতা কর্মীদের সাথে মত বিনিময়কালে বলেন তিনি বিএনপিতেই আছেন বিএনপিতেই থাকবেন।