নবাবগঞ্জ-পাড়াগ্রাম রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত

377

নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ব্রিজ থেকে পাড়াগ্রাম যাওয়ার ১৬ কিলোমিটার র্দীঘ একমাত্র রাস্তাটি এখন যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সময়ের সাথে অনেক কিছু পরিবর্তন হলেও রাস্তাটিতে উন্নয়নের ছোয়া লাগে নি। 

সড়কজুড়ে পিচ কার্পেটিং উঠে খানা-খন্দ ও বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই এসব গর্ত বৃষ্টির পানিতে ভরে থাকে, আর এসব গর্তে পড়ে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় পড়ছে যানবাহন ও পথচারীরা। মাঝে মাঝে যানবাহন বিকল হয়ে সড়কের মাঝেই পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ দুর্ভোগ যেন দেখারও কেউ নেই।

অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ঝুঁকি নিয়ে হলেও এ সড়ক দিয়ে শত শত যাত্রীবাহী রিকসা, মটরসাইকেল, ইজিবাইক, গতি, সিএনজি দিয়ে হাজার হাজার যাত্রীকে চলাচল করতে হয়। ফলে উপজেলার অন্যান্য সড়কের মধ্যে এ সড়কের গুরুত্ব বেশি।

রাস্তার এমনই বেহাল দশা যা যান চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তবুও মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব সড়ক ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাস্তায় যানবাহন চালালে নদীর যানবাহনে উথাল-পাথাল ঢেউয়ের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীদের মধ্যে রীতিমতো শুরুহয়ে যায় হৃদকম্প। এ সড়কে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জের ১০ হাজার পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেবে “মানবতার গাড়ী”

সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় নবাবগঞ্জ উপজেলার উত্তরাঞ্চলের প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। জানা গেছে, প্রায় একযুগ আগে মুহাম্মদ নূর আলীর ব্যাক্তিগত টাকা দিয়ে নবাবগঞ্জ থেকে পাড়াগ্রামর ১৬ কিলোমিটার রাস্তাটি কার্পেটিং করা হয়েছিল। এর পর থেকে এ পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তসহ উল্লেখযোগ্য সংস্কার চোখে পড়ে নি। এ অবস্থায় স্থানীয় জনগন ও যাত্রীদের প্রশ্ন আর কতখানি ভাঙ্গলে মেরামত করা হবে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তা মাঝখানে উচু এবং দু পাশে নিচু হয়ে অনেকটা কবরের মত আকার ধারন করেছে। কোন কোন স্থানে ২/৩ ফুট পর্যন্ত রাস্তা দেবে গেছে।  গর্তে পড়ে এ সড়কে বিভিন্ন যানবাহন বিকল হওয়র ঘটনা নিত্যদিনের।

এলাকাবাসীর দাবী অতিদ্রুত যেন এ রাস্তা মেরামত করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।এ ব্যাপারে কথা হয় পথচারী রমজান আলীর সাথে তিনি জানান, “কষ্টে যাদের জীবন গড়া তাদের আবার কষ্ট কিসের। এমপি-মন্ত্রীরা যদি এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করত তাহলে রাস্তার এমন ভয়াবহ অবস্থা থাকত না। আমরা তো সাধারন জনগন একটা ভোটের মালিক তাই আমাদের এমন চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।”

অন্য খবর  মহা আতংকে দোহার পৌরবাসী

সিএনজি চালক আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, গাড়ি নিয়ে যেতে ইচ্ছা হয়না বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হয় এই রাস্তাটি দিয়ে। কিছু কিছু জায়গায় এমনই অবস্থা গাড়ি উল্টে যাওয়ার উপক্রম। বেশির ভাগ সময়ই এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে প্রচুন্ড ঝাকুনিতে গাড়ির নাট-বল্টু খুলে গাড়ি অকেজ হয়ে পরে থাকে। কর্তপক্ষ যেন অতি শিগ্রহ এ রাস্তাটি মেরামত করার ব্যবস্থা গ্রহন করেন।

এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ জানায়, কিছুদিনের মধ্যে এ রাস্তাটির মেরামতের কার শুরু হবে।

আপনার মতামত দিন