নিউজ৩৯ঃ নবাবগঞ্জ – দোহারে নিত্যদিনই চলছে ইট-বালু বোঝাই -লাইসেন্সবিহীন ট্রাক ও পিকআপ। আর এসব যানবাহনের কারোরই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। তাই প্রতিমাসেই ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। মৃত্যু হচ্ছে ২/৩ জনের। এরা কেউই মানছে না পরিবহন নিয়মবিধি। বেপরোয়া এসব বালুর ট্রাক, পিকআপ এবং মাহেন্দ্রর কারণে সড়কে চলাচল অসাধ্য হয়ে উঠেছে। এসব যানবাহনের চালকেরা বেশি ও দ্রুত আয়ের আকাঙ্ক্ষায় বেপরোয়াভাভে যানবাহন চালান।
পরিবহন চালকদের ট্রাফিক নিয়ম থাকলেও মানছে না ট্রাক চালকরা। নবাবগঞ্জ – দোহারে নানান ধরনের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত এসব চালকদের নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স বা প্রশিক্ষণ। মূলতঃ হেল্পার থেকে এরা রাস্তায় এসব যানবাহন চালিয়ে ড্রাইভার হচ্ছেন। এদের অধিকাংশই অল্প বয়সী, অল্প শিক্ষিত এবং শিক্ষানবিশ চালক।
দোহারে বিভিন্নস্থান যেমন বাহ্রা, মৈনট, কার্তিকপুর, মাহমুদপুর, বিলাসপুর, নারিশা, মুকসুদপুর এবং নবাবগঞ্জের শিকারিপাড়া, বারুয়াখালী, বান্দুরা, শোল্লা, যন্ত্রাইলসহ বিভিন্নস্থানে চলছে এসব লাইসেন্সবিহীন যানবাহন।
এতে ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। এদের কারণে সড়ক আজ অনিরাপদ। এ এক মরণফাঁদ। বিশেষ করে ইট- বালুর ব্যাবসায়ীদের ট্রাক, মাহিন্দ্রাগুলো যেন সাক্ষাৎ যমদূত। আতংকে রয়েছে জনসাধারণ। জনসাধারণ সকলেরই দাবী, প্রশাসন যেন এই ব্যাপারে আইনের কঠোর আইন প্রয়োগ করে। এসব যানবাহন পরিবেশও নষ্ট করছে বিধায় পরিবেশ গত ঝুকিও যেন প্রশাসন বিবেচনা করে।
স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ, দোহার – নবাবগঞ্জে প্রশাসন বিভিন্ন বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করলেও লাইসেন্সবিহীন ট্রাক – পিকআপ, মাহেন্দ্রর চালক বা গাড়ির বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, যারা এসব লাইসেন্সবিহীন যান চালায়, এদেরকে বড় বড় নেতারা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এদের কিছু বলা যায় না। তাই আমরা সব সময় ভয়ে থাকি। আমরা এসব থেকে পরিত্রাণ চাই।