নবাবগঞ্জে সিডিউল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

197

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় দেড় কোটি টাকার কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। তবে ঠিকাদারদের কাছে সিডিউল বিক্রিতে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী কার্যালয় ও ঠিকাদার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্র“য়ারি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৩৬টি কাজের উন্নয়ন প্রকল্পের সিডিউল বিক্রির কথা ছিল। বিধি মোতাবেক বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঠিকাদাররা সিডিউল কিনতে অপেক্ষা করে। এ সময়ের মধ্যে কাউকেই তা কিনতে দেয়া হয়নি। ৪টার পর থেকে সিডিউল বিক্রি শুরু করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। এ সময় বিপুলসংখ্যক ঠিকাদার সিডিউল কিনতে ভিড় জমান। রাত ১২টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে অনেকেই কিনতে সক্ষম হন। পরের দিন দরপত্র জমা দানের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয় দুপুর ১টা পর্যন্ত। কিন্তু এ স্বল্প সময়ে অনেক ঠিকাদার তাদের দরপত্র জমা দিতে পারেননি। যারা দরপত্র জমা দিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই উপজেলা প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ঠিকাদার। এ অবস্থায় উপজেলা প্রকৌশলী ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেছেন কতিপয় ঠিকাদার। দুইদিন ধরে তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের প্রশ্ন, ১৬ ফেব্র“য়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত দরপত্র বিক্রির শেষ সময় থাকলেও তিনি কেন তা কিনতে দেননি? এছাড়া বিক্রির সময় রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়ানো হলেও জমার সময় বাড়াননি। কারণ তার আস্থাভাজন ঠিকাদারদের দিয়ে কাজগুলো পাইয়ে দেয়ার কৌশলেই তিনি এসব অনিয়ম করেছেন। বৃহস্পতিবার নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে মেসার্স দ্বীপ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, সব ঠিকাদারের স্বার্থে ও কাজের স্বচ্ছতার জন্য পুনরায় দরপত্র আহ্বানের দাবি জানাই। মেসার্স শুভ অপু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খলিলুর রহমান বলেন, প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও পুনঃদরপত্র আহ্বান করতে হবে। নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ বলেন, কোনো অনিয়ম হয়নি। বিকাল ৪টার আগে থেকে ঠিকাদাররা লাইনে ছিল তাই সিডিউল বিক্রিতে রাত হয়েছে। তবে ১৬ ফেব্র“য়ারি সকাল থেকে কেন সিডিউল বিক্রি হয়নি এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি তিনি।

আপনার মতামত দিন