ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার হরিস্কুল গ্রামের মাধব পালের মেয়ে লক্ষ্মী রানী পালের বন্দোবস্তের ১৮ শতাংশ খাস কৃষি জমি দখলের পায়তারা করছে পার্শ্ববর্তী জালালচর গ্রামের মো. হাসমত। এমনি অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসমত ঐ গ্রামের মৃত শেখ আজমত আলীর ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও দলিল সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মী রানী স্বামী পরিত্যক্তা, নি:সন্তান ও ভূমিহীন। গ্রাম গ্রামে ঘুরে কাপড় বিক্রি করে চলে তার একার সংসার। যন্ত্রাইল ইউনিয়নের জালালচর মৌজার ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত আরএস ৫১৯নং দাগের ১৮ শতাংশ কৃষি জমি ২০০৯ সালে বন্দোবস্ত পান লক্ষ্মী রানী। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে তৎকালীন ঢাকা জেলা প্রশাসক ৪৯১০/০৯ নং দলিল মূলে ভূমিহীন হিসেবে ঐ জমি তাকে ৯৯বছরের বন্দোবস্ত দেয়। তৎকালীন নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্দেশে সার্ভেয়ার লক্ষ্মী রানীকে জমিটি বুঝিয়ে দেন। সেই মোতাবেক নামজারি ও খাজনাদি পরিশোধ করে ফসল রোপন করে আসছিলেন।
লক্ষ্মী রানী পালের অভিযোগ, সম্প্রতি জালালচর গ্রামের মো. হাসমত ঐ জমি দাবী করে সীমানা পিলার তুলে ফেলেন। আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেও হেরে যাওয়ার ভয়ে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন। এবছর বর্ষার পর জমিতে রোপন করা খেসারী ডাল মো. হাসমত তার ভাড়াটে বাহিনী দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কথাও তিনি শুনছেন না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. চঞ্চল জানান, জমিটি হিন্দুদের ছিল বলে জানি। আরএস রেকর্ড অনুযায়ী প্রশাসন ভূল করেনি। লক্ষ্মী জমিটিতে ফসল রোপন করে আসছিল। তাই দেখে আসছি।
এবিষয়ে মো. হাসমত জানান, এটা তার পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমি। ভূল বসত রেকর্ড হয়নি। আগের মামলায় লেখা ভুল হয়েছিল। তাই, তুলে নিয়েছিলাম। আবার মামলা করেছি।