ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে ভেঙে দেয়ার অভিযোগে প্রেমিকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসবাব ভাংচুর করেছে প্রেমিকার বাবার পক্ষের লোকজন। এ সময় নারীসহ ৬ জনকে মারধর করা হয়েছে। নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বালুরচর-টুকনিকান্দি গ্রামের মাসুদ ভূঁইয়ার কলেজপড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে শান্তর দীর্ঘদিন ধরে মন দেয়া-নেয়া চলছিল। সম্প্রতি কলেজছাত্রীর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। মঙ্গলবার হঠাৎ তার বিয়ে ভেঙে যায়।
কলেজছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, শান্ত ও তার পরিবার বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। তাই মঙ্গলবার বিকালে ৪০/৫০ জনের একটি সশস্ত্র দল শান্তর বসতবাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা টিভি, ফ্রিজ, আলমারি, মোটরসাইকেলসহ আসবাব ভাংচুর করে। এতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে শান্তর মা, ভাবী,ভাগ্নেসহ ৫ জনকে মারধরে আহত করে।
ফেরার সময় শান্তর বন্ধু জাকিরের বাড়িতে হানা দেয় । এ সময় তাকে না পেয়ে তার মা হনুফা বেগমকে মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হনুফা বেগমকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকিরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নেন। নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
শান্তর বাবা আবদুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা শুধু মারধর করেনি, ঘরে থাকা নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে।
মাসুদ ভূঁইয়া বলেন, ওরা মেয়ের বিয়ে ভেঙে দিয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করেছে। তাই এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওই বাড়িতে হামলা চালায়।
নবাবগঞ্জ থানার উপ- পরিদর্শক কায়সার আহমেদ বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করা হচ্ছে।