অস্ট্রিয়ায় ইসলামবিদ্বেষী আইন: নিন্দা জানালেন মুসলমানরা

211

অস্ট্রিয়ার মুসলমানদের ওপর সীমান্তবদ্ধতা আরোপের জন্য দেশটির আইনে যে সংশোধন আনা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির মুসলিম নেতারা। বুধবার আনা সংশোধনীতে বলা হয়েছে, অস্ট্রিয়ার মসজিদ বা অন্য কোনো মুসলিম সংস্থা দেশের বাইরে থেকে আর্থিক সাহায্য নিতে পারবে না।

রাজধানী ভিয়েনায় পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে মুসলিম নেতারা এ আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এর মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। এ আইনের ফলে অস্ট্রিয়ার মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ ও ইসলাম-আতঙ্ক বাড়বে।

অস্ট্রিয়ার মুসলিম সিভিল সোসাইটি নেটওয়ার্কের প্রধান ইনেস মাহমুদ এ সম্পর্কে বলেছেন, “এ আইনের ফলে অস্ট্রিয়ার জনগোষ্ঠী আমাদেরকে তাদের জন্য হুমকি বলে মনে করবে। তারা আমাদেরকে সন্ত্রাসী ভাবতে শুরু করবে।”

বুধবার অস্ট্রিয়ার পার্লামেন্ট প্রায় ১০০ বছর আগের একটি আইন সংশোধন করে। এতে দেশটির মুসলিম নাগরিক ও তাদের সংস্থাগুলোর প্রতি বিদেশি প্রভাব ও অর্থসাহায্য বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে এ আইনের ফলে মসজিদের ইমামরা জার্মান ভাষা শিখতে পারবেন না।

১৯১২ সালে মুসলমানদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রথম আইনটি পাস করা হয়েছিল। ওই আইনে ইসলামকে অস্ট্রিয়ার অন্যতম স্বীকৃত ধর্ম হিসেবে মেনে নেয়া হয়েছিল। মুসলমানদের ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে একীভূত করে নেয়ার ক্ষেত্রে এ আইনকে এতদিন ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্য আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

অন্য খবর  দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর চ্যান্সেলর কুর্টসের পদত্যাগ

অস্ট্রিয়ায় ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের পর মুসলমানরা বৃহত্তম সংখ্যালঘু হিসেবে পরিচিত। দেশটির ৮৫ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা অন্তত পাঁচ লাখ।

আপনার মতামত দিন