নবাবগঞ্জ উপজেলায় জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য রাশেদ সম্রাট (৪৫) নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার হয়েছে। রোববার রাতে উপজেলার ঘোষাইল গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাশেদ সম্রাট ঐ গ্রামের মৃত রকমানের ছেলে বলে জানা গেছে।
নবাবগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিন্নাৎ আলী জানায়, জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য রাশেদ সম্রাটকে গত রোবার রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে সকালে উপজেলার তিতপালদিয়া গ্রামের পপি আক্তার (১৫) কে স্থানীয় জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১,২,৩ নং সদস্য রওশনারা বেগম বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর তাকে খোঁজে পাওয়া যায়না। পরে ঐ দিনই ইউনিয়নের ৩নং ও ৬সং ওয়ার্ডের মেম্বার রাশেদ স¤্রাট ৬নং ও মকবুল ৩নং পপির বাবা হান্নান শেখকে মোবাইল ফোনে জানায় পপিকে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে পেতে হলে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে বলে দাবি করেন। বিষয়টি জানাজানি করলে পপিকে জীবিত পাওয়া যাবেনা বলেও হুমকী দেয় তারা।
পরে এঘটনায় ২২ মে ঐ তিন মেম্বারের বিরদ্ধে আদালতে অপহরনের মামলা করে পপির বাবা হান্নান শেখ। ২৭ মে নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরির্দশক আশরাফুল আলম তালুকদার তাদের মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে ঢাকার আশুলিয়া থেকে পপিকে উদ্ধার করতে পারলেও আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি।