শনিবার ভোর সকাল সাড়ে ছয়টার সময় নবাবগঞ্জ থানার গালিমপুর সোনাহাজরা মাদরাসার মসজিদের সামনে রহস্যজনক ভাবে ঘোড়াঘুড়ির সময় ছেলে পাচারকারী সন্দেহে একব্যক্তিকে আটক করে এলাকাবাসী। এরপর উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে গনপিটুনি দেয়। পরবর্তীতে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে তাকে তার আত্মীয়র কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, শনিবার সকালে মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী আসার সময় সে কয়েকজন শিশুকে টাকা দিতে চায়। তার এই সন্দেহজনক আচরনের কোন যথাযথ ব্যাখ্যা না পেয়ে স্থানীয় যুবকরা তাকে ছেলে ধরা সন্দেহে মারধোর করে। খবর পেয়ে সোনাহাজরা মাদরাসার অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান তাকে উদ্ধার করে মাদরাসার একটি কক্ষে তালাবন্দি করে স্থানীয় লোকজনকে খবর দেন। খবর পেয়ে সবাই আসলে স্থানীয় এক লোক তাকে তার খালু বলে চিহ্নিত করে এবং তার নাম পরিচয় জানিয়ে বলে তার নাম রমজান আলি, বাড়ি সিরাজগঞ্জ এবং তিনি একজন মানসিক রোগী।
সোনাহাজরা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিউজ ৩৯ কে জানান, উক্ত রমজান আলীকে স্থানীয় লোকজনের জিম্মায় ঘটনার বর্ননাসহ সবার স্বাক্ষর রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যারা স্বাক্ষর দিয়েছেন তারা হলেন কায়কোবাদ, মাহবুবুর রহমান(বর্তমান মেম্বার-গালিমপুর ইউনিয়ন), জাহাঙ্গীর আলম(সাবেক মেম্বার), শাহাদাৎ হোসেন, মো: ফিরোজ, শাহীন হোসেন, গোলাম হোসেন, খলিলুর রহমান।
এই ব্যাপারে নিউজ ৩৯ এর সাথে কথা হয় জনাব কায়কোবাদের সাথে। তিনি বলেন, “আসলে তিনি মানসিক রোগী বুঝার পর আমরা তাকে ছেড়ে দেই। শুধু শুধু একজন মানসিক রোগীকে আটক রাখার কোন মানে হয় না।”
নিউজ ৩৯ এর সাথে মোবাইলে কথা হয় গালিমপুর ইউনিয়ন মেম্বার মাহবুবুর রহমান (লিটন) এর সাথে। তিনি বলেন থানা পুলিশের ঝামেলায় না গিয়ে রমজানকে তারা তার আত্মীয়র কাছে হস্তান্তর করেন।