রাজধানী ঢাকার গুলিস্থান এলাকা থেকে মাত্র ৩৭ কিঃমিঃ দুরে অবস্থিত নবাবগঞ্জ উপজেলা। উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জরিত। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু ভূমিখেকো নদীর পাড়ের জমিসহ বিভিন্ন জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে ফলে অনেক নিরীহ মানুষের কৃষি জমি ভেঙে নদীতে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। ফলে সাধারন জনগণ জমি বসতবাড়ী হারিয়ে পথে বসছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালীগঙ্গা নদীর খৈতা খেয়া ঘাট, কোন্ডা খেয়া ঘাট, নয়নশ্রীর খানেপুর, মেলেং ও মাতাপপুর কাটাখালী এলাকা, দৌলতপুর-তুলশিখালী, ইছামতি নদীর সাইলকা খেয়া ঘাট সংলগ্ন বিশাল এলাকা জায়গাজুড়ে কোনো রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে প্রতিদিন প্রভাবশালী খুদু মেম্বার ও এপেলো মেম্বার নজরুলসহ বেশ কয়েক জন ভূমিখেকো চক্রের সদস্যরা। যা মাহেন্দ্র গাড়ী দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনা ও ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য।অনুমোতিবিহীন মাহেন্দ্র গাড়ী কাচা সড়ক গুলোতে চলাচলের কারনে সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে গেছে বলে জানান কৈলাইলের রব মুনসী।
তিনি বলেন, যা দেখেও না দেখার ভান করছে স্থানীয় প্রশাসনের কর্তা বেক্তিরা এমন অভিযোগ বিভিন্ন জমির মালিকদের।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে নবাবগঞ্জ উপজেলায় মোট জমির পরিমান ৫৮,২৮৪.০২ একর, ফসলি জমি ৩০৮৯২ হেক্টর, আবাদী জমি ১৭৭৮৪ হেক্টর। জনসংখ্যা বৃদ্ধিরহার প্রায় ১.৪৮% যা আগামি ৫০ বছরে ২ গুনে পরিনত হবে। যার কারনে এখন থেকেই আবাদযোগ্য কৃষি জমি রক্ষা জরুরি বলে মনে করেন উপজেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবক শাহজাহান চুন্নু।
তিনি আরো বলেন আমাদের কৃষক সমাজকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে ও তাদের সচেতন করতে হবে কৃষি জমি রক্ষায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল আমীন বলেন, কৃষক সমাজের সচেতন হওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, নিয়ম নীতির বাইরে কেও না অনিয়ম করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।