চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে নবাবগঞ্জের ১৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। তৃণমূল কর্তৃক চূড়ান্ত করা হলেও কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের চূড়ান্ত করার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল সমর্থনের পরিপ্রেক্ষিতে কলাকোপা ইউনিয়নে মো. ইব্রাহীম খলিল, আগলায় সুরুজ খান, বক্সনগরে আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, যন্ত্রাইলে নন্দলাল সিং, বান্দুরায় নাসির উদ্দিন, বারুয়াখালী আরিফুর রহমান সিকদার, চুড়াইনে আব্দুল জলিল, গালিমপুরে আজিজুর রহমান ভূইয়া আজিম, বাহ্রায় মো. সাফিল মিয়া, কৈলাইলে পান্নু মাদবর, শোল্লায় দেওয়ান তুহিনুর রহমান, নয়নশ্রীতে পলাশ চৌধুরী, শিকারীপাড়ায় আলিমুর রহমান খান পিয়ারা, জয়কৃষ্ণপুরে আবুল হোসেনকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
তবে এসব মনোনয়নের বিষয়ে কিছু প্রার্থীকে নিয়ে তৃণমূলের একাংশের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। তাদের অভিযোগ, একটি সিন্ডিকেট প্রার্থী মনোনয়নে মোটা অঙ্কের বাণিজ্য করেছে। তৃণমূলের দোহাই দিয়ে কিছু নেতা পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা যাচাই না করেই মনোনয়নের আশ্বাস দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে নাম পাঠিয়েছেন।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার ভূইয়া বলেন, দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। যাদের টাকা বেশি, তাদেরই মনোনয়নের জন্য বাছাই করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে চেনা-জানার প্রয়োজন হয়নি। এতে দলের গণতন্ত্র ব্যাহত হয়েছে।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এক সাবেক নেতা বলেন, বাহ্রা, কৈলাইল, যন্ত্রাইল, শিকারীপাড়া, বান্দুরা, চুড়াইন, গালিমপুর ও জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ত্যাগী ও মাঠের নেতাদের মনোনয়ন না দিয়ে লোক দেখানো তৃণমূল ভোট করে বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রার্র্থী বাছাই করা হয়েছে। এসব মনোনয়নে পক্ষ-বিপক্ষ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগও উঠেছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু বলেন, এমন কিছু কথা আমিও শুনেছি। তবে কে বা কারা এসব করছে, এর প্রমাণ পাইনি। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত দিন