একটি ব্রিজের জন্য…

668
একটি ব্রিজের জন্য...

একটি ব্রিজের অভাবে নবাবগঞ্জ উপজেলার শিকারিপাড়া, জয়কৃষ্ণপুর ও বারুয়াখালীর তিন ইউনিয়নের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইছামতি নদী শিকারিপাড়া ইউনিয়নকে জয়কৃষ্ণপুর ও বারুয়াখালী ইউনিয়নের সীমানা আলাদা করেছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছে মনিকান্দা দাখিল মাদরাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী।
বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সোনাবাজু-মনিকান্দা এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর ওই নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের সব রকম ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
সূত্র জানায়, মনিকান্দা দাখিল মাদরাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নবাবগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের এবং মানিকগঞ্জ সদর ও হরিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নিম্ন আয়ের ও গরিব ছেলে মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি এলাকাবাসীর জন্য ভরসাস্থল। এসব প্রতিষ্ঠানে মানিকগঞ্জ উপজেলা ও হরিরামপুর উপজেলার বোয়ালী, ইব্রাহিমপুর, চেগারঘোনা, বাবুরহাটি, চরবংখুরী, রত্নদিয়া, গোপালখালী, বংখুরী, হাটিপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করছে।
এ ছাড়া নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কল্যাণশ্রী, বাহাদুরপুর, ঘোষাইল, তিতপালদিয়া, সোনাবাজু, জয়কৃষ্ণপুর, শ্যামপুর, শংকরদিয়া ডাক্তারকান্দা গ্রামের এবং বারুয়াখালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ও শিকারিপাড়া ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামের শত শত ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করছে।
ফলে জয়কৃষ্ণপুর, বারুয়াখালী ইউনিয়ন ও হরিরামপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি ব্রিজ না থাকায় প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে মাদরাসায় যেতে হচ্ছে। তাছাড়া বেড়িবাঁধ থেকে শিকারিপাড়া পর্যন্ত যে ইট সোলিং রাস্তাটি রয়েছে তার অবস্থা এতটাই বেহাল যে কোনো যানবাহন চালনো যায় না। বাধ্য হয়ে অতি কষ্টে ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীরা বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হচ্ছে।
বর্ষার সময় দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। বাঁশের সাঁকোটি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে। তাই সোনাবাজু থেকে মনিকান্দা ইছামতি নদীর ওপর একটি ব্রিজ এলাকাবাসীর সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, যত দ্রুত সম্ভব ব্রিজটি নির্মাণ করে তাদের দুর্ভোগ লাঘবে সহায়তা করবেন।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফারুক আহম্মদ বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা রেখে নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত দিন