নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করতে হবে। তাহলেই একটি সুন্দর ও সুখী সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে উঠবে। বুধবার দুপুরে নবাবগঞ্জে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নয় মাস যুদ্ধ করে বিজয় লাভ করেছিলাম। তাই আজ আমরা সারা বিশ্বে আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি। এ দেশটি আমাদের সবার তাই এটিকে রক্ষা করা আমাদের সবারই দায়িত্ব।
সালমা ইসলাম এমপি বলেন, ‘একটি সুন্দর দেশ গড়তে সব ভেদাভেদ ভুলে স্বাধীনতার চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সহযোগিতার মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে স্বাধীনতা ও দেশপ্রেমের চেতনা। আসুন দলমত নির্বিশেষে সবাই মিলে একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করি।’
মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয়ের সুফল পেতে দোহার-নবাবগঞ্জের নারী-পুরুষসহ সব মা-বোনকে মতভেদ ভুলে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে সামাজিক উন্নয়নে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সকালে তিনি নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার হারুন-অর-রশিদ, বোরহান উদ্দিন খান, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আবদুল বাতেন মিয়া, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বদিউজ্জামান বদি, ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন রহমান আকবর, মরিয়ম জালাল শিমু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল কাদির মিয়া, নবাবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহ আবু বকর সিদ্দিক, নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সায়েদুর রহমান, নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. ইব্রাহীম খলিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।