দোহার পৌরসভা ভাংচুরের দায়ে থানায় জিডি করেছে এক নির্বাচনে ১৯ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা পৌর মেয়র আব্দুর রহিম। ২৭ মার্চ বুধবার দোহার পৌরসভায় অতিরিক্ত কর আদায়ের প্রতিবাদে পৌরসভা কার্যালয় ঘেরাও করে স্মারকলিপি দেয় পৌরবাসী। এ সময় কিছু লোক পৌর কার্যালয়ে ভাংচুর চালায়। তারা পৌরসভার ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড পৌরবাসী অতিরিক্ত কর আদায়ের প্রতিবাদে পৌর মেয়র আ. রহিমের কাছে স্মারকলিপি দেয়। যেখানে স্বারকলীপিতে ১১ টি অনুচ্ছেদের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌরসভা গঠনের এই ১৯ বছর চলমান রয়েছে। যেখানে দোহার পৌরসভা প্রথম শ্রেণীর স্থান অধিকার করেছে। কিন্তু সে অনুযায়ি পৌরবাসীর কোনোরুপ আশার বাস্ত বায়ন ঘটেনি। উল্লেখ্য, স্বারকলীপির ৫ম অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, ১০-১২ বছর যাবত পৌরসভা কর্যালয়ে বিশাল আকৃতির একটি পানির ট্যাংক রয়েছে যা থেকে দেখে পৌরবাসীর মনে করেছিলো তাদের পানির দুঃখ ঘুচবে। কিন্তু পৌরবাসী সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে কড়ের অর্থ বাড়ানোর যৌক্তিকতা মনে করে না। আবার স্বারকলীপির ৮ নং অনুচ্ছেদে দেখাযায়, পৌরসভা কর্তৃক পৌরবাসীর পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। কোথাও ২/১ টি পানি নিষ্কাশনের ড্রেন থাকলেও ময়লা-আবর্জনা পরে তা ভরে রয়েছে। ফলে মশা-মাছি আর দুর্গন্ধে বসবাসের অনুপযোগী হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোনোরুপ পদক্ষেপ গ্রহন করে বলে স্বারকলীপিতে অভিযোগ করা হয়। যার ফলে কড়ের অর্থ বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তারা। মেয়র কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানকালে নিচে অবস্থানরত কিছু লোক নীচতলার অফিসের জানালার কাচ ও ফুলের টব ভাংচুর করে। দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, পৌরসভা কার্যালয়ে হামলাকারীদের খুঁজে বের এবং আইনের আওতায় আনা হবে।
