দোহার-নবাবগঞ্জ সংযোগ খালে বাঁধ দেয়া কেন্দ্র করে উত্তেজনা

459

নিউজ৩৯.নেট : নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নবাবগঞ্জের সাবখালি খালে বাধঁ নির্মাণকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা রিবাজ করছে। যে কোনো সময় জনগণ ফুসে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

জানা গেছে, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার জনগনের নদী পথের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম সাবখালী খাল। যা পদ্মা নদী থেকে ইছামতি নদীতে গিযে মিশেছে। খালটি শত বছরের ঐহিত্য ও কালের সাক্ষী। এ খালের উপর নির্ভর করে এলাকার শ শ পরিবার জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে যুগ যুগ ধরে। এছাড়া অর্থনৈতিকভাবে এ খাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এ বছর সাবখালী গ্রামের কয়েকটি পরিবার বন্যার পানির স্রোতে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে বান্দুবায় ইউনিয়নের চেয়ামম্যান মো. হিল্লাল মিয়া আড়াআড়িভাবে বাধঁ দেয়ার সিন্ধান্ত নেন এবং সে মোতাবেক গত এক সপ্তাহ ধরে সাবখালী গ্রামে আব্দুল মোন্নাফের বাড়ি সামনে খালের আড়াআড়িভাবে মাটি ফেলে বাধঁ নির্মাণের কাজ চলছে।

বাধঁ দেয়াকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। বাধেঁর নির্মাণের পক্ষে ও বিপক্ষে অবস্থান করছে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।  সরেজমিনে দেখা গেছে, বাধেঁর প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকী কাজ সম্পূর্ণ করতে আরো ১৫ দিন লাগবে বলে জানা যায়।

অন্য খবর  রাতে ডাকাতি, দিনে চুরি; এই নিয়ে আমরা বাস করি

আড়াআড়িভাবে বাধেঁর কারণে পানির প্রবাহ বন্ধসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া এ খালটি দুউপজেলার মধ্যে নৌপথে পন্য পরিবহনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। খাল ভরাটের কাজ সম্পূর্ণ হলে বর্ষা মৌসুমে দোহার উপজেলার  ইসলামপুর, খালপাড়, বৌবাজার , কাঠালীঘাটা ও চরজয়পাড়ার হাজার পরিবার স্থায়ী জলবদ্ধতার স্বীকার হবে অন্যদিকে নবাবগঞ্জ সৈয়দপুর , হাড়িকান্দা. সাদাপুর ও মাঝিরকান্দা এলাকার শ শ একর জমি পানি সঙ্কটের কারণে বহু জমি অনাবাদী হওয়ার আশংকা রযেছে।

এ বিষয়ে বান্দুরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আমজাদ হোসেন বলেন, “খাল ভরাটের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। “মাটি ভরাটের কাজ শুরুর দিন আমি ছিলাম না। নবাবগঞ্জ উপজেলার ইউএনও সিরাজুল ইসলাম উকিল মাটি ভরাটের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান।

তবে এ বিষয়ে বান্দুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিল্লাল মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, “এটা আমার নির্বাচনী ওয়াদা। আর নির্বাচনী ওয়াদাপালন করতে গেলে কারও সুবিধা হবে আর কারো অসুবিধা হবে এটাই স্বাভাবিক।” এলাকার সাধারন মানুষের দাবি এ খালটি ঐতিহ্যবাহী খাল। কোনো চক্রান্তকারী এ খাল বন্ধ করতে পারবে না। বাধেঁর কাজ অনতিবিলম্বে বন্ধ না করা হলে যা যা করা দরকার প্রায়োজনে তাই করা হবে।

আপনার মতামত দিন