ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা সরকারি কলেজের শিক্ষক – কর্মচারীদের কৃতজ্ঞতাসূচক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মানুষ অনেক আন্তরিক এবং উদার। যে কোন প্রয়োজনে তারা একে অপরের পাশে দাড়িয়েছে।
আবারও ক্ষমতায় আসার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা বঙ্গবন্ধু আহবানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে৷ একইভাবে, তারা শিক্ষা এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রার স্বার্থে তারা মেজর জেনারেল এ আর খানের আহবানে সাড়া দিয়ে পদ্মা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে। আজ পদ্মা কলেজ সরকারি হয়েছে, এই মানুষটির অক্লান্ত পরিশ্রমে। পদ্মা কলেজ সরকারি করণের মূল কারিগরিই হচ্ছেন এ আর খান।
উল্লেখ্য দোহারের পদ্মা সরকারি কলেজ এবং নবাবগঞ্জ উপজেলার ডিএন কলেজ সরকারি করণে প্রত্যক্ষ সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি দুটি কলেজেই ডিও দিয়েছেন। বার বার শিক্ষামন্ত্রী এবং সচিব কমিটিকে তাগিদ দিয়েছেন। এছাড়া বর্তমান সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানও কলেজ দুটির সরকারি করণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এতে এই দুই জনপদের শিক্ষার্থীরা কলেজে ২০টাকা এবং অনার্সে ২৫টাকা বেতনে পড়ালেখা করতে পারবে। সরকারি করণের রাজস্বখাত থেকে বেতনভাতা প্রাপ্তি উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নিজ বাড়ি দোহারের শাইনপুকুরে দেখা করতে যান পদ্মা সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ।
শাইনপুকুরে নিজ বাড়িতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কলেজ চত্বরে একটি অত্যাধুনিক মসজিদ নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। অচিরেই তা বাস্তবায়ন করা হবে। আপনারা এবং নবাবগঞ্জ কলেজ শুধু লক্ষ্য রাখবেন এই অঞ্চলের জনগণ যেন সরাসরি কলেজ এবং স্কুল সরকারি করণের সুবিধা পায়। অর্থের অভাবে কেউ যেন ঝড়ে না পড়ে৷
তিনি আরও বলেন, সবাইকে সচেতন হতে হবে। সন্তান কোথায় যায়, কী করে, তার খোঁজ রাখুন।
দেশের সর্বক্ষেত্রে নারী অধিকার বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে নারী শিক্ষার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আশা করছি আমাদের মেয়েরা নিজেকে শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি রূপে গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন।
পদ্মা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জালাল হোসেন বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট কৃতজ্ঞ। এই কলেজ স্বাধীনতার চেতনায় পরিচালিত হবে। আমরা একাডেমিক মানোয়ন্নের মাধ্যমে আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। আমরা ঢাকা দক্ষিণে সেরা বিদ্যাপীঠে পরিণত হবো ইনশাআল্লাহ।
সহকারী অধ্যাপক লুতফর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন। দেশকে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অগ্রসর করেছেন তার কণ্যা। সরকারি করণে সরাসরি তৃণমূলের জনগণ সুবিধা পাবে। আমরা আল্লাহর পর আপনার নিকট চির কৃতজ্ঞ। এছাড়া কলেজ সরকারি করণে অধ্যক্ষ জালাল হোসেন এবং সিনিয়র শিক্ষক সেলিম হোসেনের নিকটও আমরা কৃতজ্ঞ।
স্টাফ কাউন্সিল সেক্রেটারি আব্দুল জলিল বলেন, আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই। আমাদের এখনো কিছু কিছু সহকর্মীর সমস্যা রয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে বিশেষ করে ৭ম গ্রেডে যাদের অবনমন হয়েছে, তাদের ব্যাপারে আশা করছি আপনি শিক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা বলে সমাধান করবেন।
সমাজকল্যাণ বিভাগের স্নাতকের লেকচারার ইদ্রিস আলী বলেন, আজ আমি পরিচয় পেয়েছি। আজ এই বয়সে আমরা সরকারি কর্মকর্তা হয়েছি। এটির রুপকার আপনি। তাই আপনার নিকট আমরা কৃতজ্ঞ।
এসময় পদ্মা সরকারি কলেজের সকল শিক্ষক কর্মচারী, দোহার সার্কেল এএসপি আশরাফুল আলম, দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোস্তফা কামালসহ দোহার উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা এবং বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।