আসিফ শেখ, নিউজ৩৯.নেট ♦ দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিনামূল্যে বই প্রদানসহ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করেও প্রাথমিক শিক্ষায় বৈষম্য দূর করা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে উপজেলায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে, এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে ২১০ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রাইভেট না পড়লে শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে ও লেখাপড়ার বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিাকাগণ গুরুত্ব দেয় না। ফলে গরীব ছাত্র-ছাত্রীরা কে স্কুলে এল কে এল না এ বিষয়ে অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিাকাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ধনী অভিভাবকদের মধ্যে চলছে বাচ্চাদের নিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর প্রতিযোগিতা। ১ থেকে ১০ পযর্ন্ত রোল তাদের সন্তানদের দখলে রাখতে হবে।
আর এ বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও পিছিয়ে নেই। তারা সরকারী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদশন করে, রাষ্ট্র নির্ধারিত লক্ষ্য ২০১৫ সালের মধ্যে দেশকে নিরক্ষর মুক্ত করণের অঙ্গিকারকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজেদের পকেট ভরায় ব্যাস্ত।
দুই উপজেলার অধীকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পযর্ন্ত চলে প্রাইভেট পড়ানোর ধুম। কিছু কিছু শিক্ষাক-শিক্ষিকা বিদ্যালয় থেকে একটু দূরে বাসা ভাড়া নিয়ে ২০ থেকে ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে চুক্তি করে প্রাইভেট পড়াচ্ছে নিয়মিত। এ ব্যাপারে এসএমসি ও স্থাণীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ভূমিকা হতাশজনক মনে করেছেন অনেক অভিবাবক।
এসএমসির সভাও হয়না নিয়মিত কাগজ-কলমে মিটিং দেখিয়ে থাকেন অধিকাংশ কমিটিগুলো। এ বাপারে সার্বিক সহায়তায় করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। যার ফলে দরিদ্র অভিবাবকরা জানতেও পারে না কার কাছে অভিযোগ করবে। এর ফলে দরিদ্র ঘরের ছেলে মেয়েরা বিদ্যালয় গুলোতে টিকতে না পেরে লেখা পড়া বন্ধ করে মা-বাবার কাজে সহায়তাসহ বিভিন্ন কাজে যোগ দিচ্ছে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, কিছু কিছু এলাকা থেকে আমি অভিয়োগ পেয়েছি খুব তাড়াতাড়ি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো পবিদর্শনে বের হব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয়ভাবে শাস্তি প্রদানের জন্য শুপারিশ করব।