দোহার-নবাবগঞ্জের বিপণি-বিতানে উপচে পড়া ভীড়

646
দোহার-নবাবগঞ্জ

ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলায় জমে উঠেছে ঈদ কেনা কাটা। কেনা কাটায় ব্যস্ত তরুন-তরুনী। প্রতিবারের মতো এবারও দোকানীরা দোকানকে বিভিন্ন জলমে আলোর রঙিন আলোকসজ্জায় দোকানকে করে তুলেছে আকর্ষণীয়। এখন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছে দোকানীরা। সেই সাথে সকল বয়সী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে মার্কেটগুলোতে। ক্রেতাদের উপচে পড়ে ভীড়ে পা ফেলার ঠাঁই নেই। তরুন-তরুনীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী পাঞ্জাবি ও থ্রি পিস সহ নানা রকমের পোশাক কিনছে। সেই সাথে নি¤œ আয়ের মানুষরাও ভীড় করছে মার্কেটসহ বিভিন্ন ফুটপাতে। বিভিন্ন বয়সী মানষের ভীড় বাড়ছে মার্কেটগুলোতে। বেচা কেনা ১০ রমজান থেকে বেড়েছে কয়েক গুন। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে বেচা কেনা। প্রতিদিনই বাড়ছে মানুষের ভীড়। দোকানের চুরি ঠেকাতে এবার দোকানদাররা সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করেছেন বলে জানা যায়। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও উপ¯ি’িত লক্ষ্য করা যায় মার্কেটগুলোতে।

সেই সাথে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে পাইকাররাও। ঢাকা ও বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন আনছে বিভিন্ন নতুন ডিজাইনের পোশাক। শাড়ির দোকান গুলোতে ভীড় করছে শাড়ি ক্রেতারা। শাড়িগুলোর মধ্যে জামদানি ও কাতান শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের উপচে পড়ে ভীড়ে দোকানের কোন স্থানই ফাঁকা নেই। নবাবগঞ্জের বান্দুরা সিজান মাল্টি শপিং মলের তারিফ নামে এক দোকানীর সাথে কথা হয় তিনি জানান,১০ রমজান থেকে বেড়েছে বেচা কেনা। প্রতিদিন ১ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বেচা হচ্ছে। সেই সাথে এ বছর সবচেয়ে বেশী বেচা হচ্ছে মেয়েদের কিরণমালা ও পারুল নামের পোশাক। তাছাড়া ছেলেদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন জিন্স প্যান্ট,পাঞ্জাবি,টি-শার্ট। নবাবগঞ্জের মার্কেট গুলোর মধ্যে রয়েছে বাগমারা,বান্দুরা ,গালিমপুর,বারুয়াখালী ও শিকারীপাড়ায় সবচেয়ে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তরুন –তরুনীর পোশাকের সৌর্ন্দয বৃদ্ধিতে দোকানে বিভিন্ন রঙের জলমলে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করেছে দোকানীরা। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ক্রেতাদের উপস্থিতি।

অন্য খবর  দোহারে ইউপি সদস্যের টাকার বিনিময়ে সরকারি জমি বন্টন

বান্দুরা সিজান মাল্টি শপিংমলে কথা হয় বারুয়াখালী থেকে পোশাক কিনতে আসা মো.হাসানের সাথে তিনি বলেন ,“এ বছর অন্যান্য বছরের চেয়ে পোশাকের মূল্য একটু বেশী ”। সরেজমিনে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়,অন্যান্য বছরের তুলনায় মার্কেটে ভীড় অনেক বেশী। ঈদের আরো বাকি ১৪ দিন তবুও ক্রেতারা যেন আগেই তাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের জন্য জামা কাপড় কিনে নিচ্ছেন।

আপনার মতামত দিন