দোহার-নবাবগঞ্জের নলকূপে আর্সেনিকের মাত্রা বেশি

223

ঢাকার দোহার নবাবগঞ্জের নলকূপগুলোতে আর্সেনিকের মাত্রা অধিক থাকায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। গভীর নলকূপের সংখ্যা কম থাকায় বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করে ক্রমেই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন এনজিও ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের জরিপে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মাটির তলদেশে আর্সেনিকের মাত্রা কম। তবে ৪০০ থেকে ৫০০ ফুটের মধ্যে প্রচুর আর্সেনিক প্রলেপ রয়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ৩০৫টি গ্রামের প্রায় ৬০ ভাগ এলাকায়ই আর্সেনিকের মাত্রা বেশি বলে ধারণা করছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা এএইচএম গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ।

দোহারের পশ্চিম ধোয়াইর গ্রামের আমির পত্তনদার বলেন, তার এলাকার বিল অঞ্চলের মানুষগুলো বেশি আর্সেনিক আতংকের শিকার। তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারিভাবে গভীর নলকূপ স্থাপন হলেও সাধারণ পরিবারগুলো এ থেকে বঞ্চিত। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

দোহারের বিলাশপুরের রফিক কাজী বলেন, এসব অঞ্চলে গরিব মানুষের সংখ্যা বেশি। তাই তাদের নিরাপদ পানির অভাবও বেশি। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে এ গ্রামের মানুষ নিজেদের অর্থে গভীর নলকূপ স্থাপন করতে পারে না। ফলে অগভীর নলকূপ অথবা নদীর পানিই বেশি ব্যবহার করে থাকে।

অন্য খবর  দোহারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজের এক শিক্ষক বলেন, দোহার-নবাবগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত জনসংখ্যা অধিক। তাদের আর্থিক সক্ষমতাও কম। তাই তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশুদ্ধ পানি অতীব জরুরি। 

কারিতাসের কর্মকর্তা প্রতাপ ঘোষ বলেন, এক সময় তারা আর্সেনিক নিয়ে কাজ করলেও এখন করছেন না। 

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এনজিওগুলো যেন জনস্বার্থে কাজ করে এ বিষয়ে তাগিদ দেয়া হচ্ছে।

আপনার মতামত দিন