দোহার-নবাবগঞ্জের কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের প্ল্যাণ্ট স্থাপন

480
দোহার-নবাবগঞ্জের কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের প্ল্যাণ্ট স্থাপন

ঢাকা-১ তথা দোহার-নবাবগঞ্জের সাংসদ সালমান রহমান প্রতিশ্রুত স্বাস্থ্যসেবায় দোহার নবাবগঞ্জকে রোল মডেলের ঘোষণা দেয়ার বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। দোহার ও নবাবগঞ্জ হাসপাতাল ১০০ শয্যায় উন্নীত করার প্রক্রিয়া ইতঃমধ্যে শুরু হয়েছে। কিন্ত এই করোনায় সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি করে মোট ৪০টি বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতঃমধ্যে উভয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২০টি করে আলাদা বেড ও ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব বেডের প্রতিটিতে এই অক্সিজেন সরবরাহ কেন্দ্রীয়ভাবে সংযুক্ত থাকবে। এছাড়া, আরো ১০টি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার সংরক্ষণ করা হয়েছে। একেকটি সিলিন্ডারে ৯৫০০ থেকে ৯৮০০ লিটার অক্সিজেন থাকবে। সারাদেশে ১৫ টি উপজেলার মধ্যে সালমান এফ রহমানের প্রচেষ্টায় দোহার নবাবগঞ্জ প্রথমদিকে এই সেবা পেলো।

সোমবার দোহারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসব কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করেন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম ফিরোজ নাঈম ও দোহার উপজেলা আইন-শৃংখলা রক্ষা কমিটিতে সাংসদের প্রতিনিধি মসফিকুর রহমান লিমন। এসময় তাদের সাথে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জসিম উদ্দিন।

নিউজ৩৯কে মসফিকুর রহমান লিমন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে যারাই অক্সিজেন সিলিন্ডার এর প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা শুনছি। মাননীয় সাংসদ প্রায় প্রতিদিন এই ব্যাপারে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন ও প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে জীবন বাঁচানো এই মেডিক্যাল গ্যাস সিলিন্ডারের। করোনা সংক্রমণ শুরুর আগে এর দাম ১০-১২ হাজার টাকা এবং তারও আগে ৫-৬ হাজার টাকার মধ্যে থাকলেও সম্প্রতি তা এক লাফে বেড়ে ২০-২২ হাজার হয়ে যায়। তাই, সারাদেশের মধ্যে দোহার – নবাবগঞ্জে জনগণের কাছে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও অক্সিজেন সেবা পৌছে দিতে মাননীয় সাংসদ সালমান এফ রহমান কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের প্ল্যাণ্ট স্থাপন করেছেন। দ্রুতই আইসিও বেড ও বেড সংখ্যা এখানে সংযুক্ত হবে।

অন্য খবর  দোহারে নদীতে গোসল করতে গিয়ে নারীর মৃত্যু

দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম ফিরোজ নাঈম নিউজ৩৯কে বলেন, অক্সিজেন উৎপাদন করে যেখানে অক্সিজেনের প্রয়োজন হবে সেখানে যেন অক্সিজেন নেওয়া যায় সে ব্যবস্থা খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে হবে এবং এর কোনও বিকল্প নেই। মানুষকে কাজে লাগতে হবে। তাই অবিশ্বাস্য দ্রুততম সময়ে দোহার-নবাবগঞ্জের কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের প্ল্যাণ্ট স্থাপন করায় মাননীয় সাংসদকে আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

দোহার উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জসিম নিউজ৩৯কে বলেন, করোনা রোগীদের অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে শ্বাসকষ্ট অন্যতম। যেসব রোগীর শ্বাসকষ্ট সহনীয় মাত্রায় থাকে, তাদের শ্বাস গ্রহণের জন্য অক্সিজেন নেয়ার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যাদের শ্বাসকষ্টের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়, তাদের শ্বাসযন্ত্র সচল রাখতে বাইরে থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়। অনেক জীবন বাঁচাতে দরকার হয় নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ। মাননীয় সাংসেদের এই উদ্যোগে আল্লাহর রহমতে ইনশাল্লাহ আমরা রোগিদের পরিপূর্ণ সুস্থ করতে পারবো। কোন রোগীকে আর শ্বাস সংক্রান্ত কষ্ট করতে হবে না। এছাড়া, স্বাভাবিক শ্বাস কষ্টেড় সমস্যা আছে যেসব রোগীদের, তারাও ইতোমধ্যে এসব সেবা পাবেন। আপনারা জানেন, মাননীয় সাংসদ ইতঃমধ্যে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংস্কার ও উন্নীতকরণে প্রায় ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।। খুব শীঘ্রই এসব কাজ শুরু হবে।

অন্য খবর  ভারতের ভ্যাকসিনে অগ্রাধিকার পাবে বাংলাদেশঃ সালমান এফ রহমান

এসময় উপস্থিত দোহার প্রেসক্লাবের আহবায়ক ও নিউজ৩৯ এর সম্পাদক তারেক রাজীব বলেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হাসপাতালগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর পরিবর্তে তারা অক্সিজেন সিলিন্ডারের উপর নির্ভর করে। ফলে, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন এমন করোনা রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব নয় বলে। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের অর্থ একটি হাসপাতালে নির্দিষ্ট জায়গায় অক্সিজেনের মজুত থাকবে, যেখান থেকে পাইপের মাধ্যমে রোগীদের শয্যায় অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। মাননীয় সাংসদের এই উদ্যোগ স্থায়ীভাবে দোহার-নবাবগঞ্জে স্বাস্থ্য সুরুক্ষা নিশ্চিত করবে ইনশাল্লাহ এবং এটি নিঃসন্দেহে একটি মাইল ফলক। আমরা দোহার-নবাবগঞ্জবাসী করোনাকালীন এই সংকট উত্তোরণে সাংসদের প্রতিনিয়ত অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞ।

আপনার মতামত দিন