দোহারে মার্কেটগুলোতে মানুষের ঢলঃ ব্যবসায়ীদের স্বস্তি

164

সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল, বিপনীবিতান ও মার্কেটগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর ঢাকার দোহার উপজেলার মার্কেটগুলোতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। মার্কেটগুলোতে নেমেছে মানুষের ঢল। ঈদের কেনাকাটায় মাতোয়ারা মানুষ। তবে উপেক্ষিত ছিল সামাজিক দূরত্ব। করোনা পরিস্থিতির কথা মনেই নেই হয়তো কারো। ক্রেতা সমাগম ও বেচা-কেনায় বাড়ায় স্বস্তিতে ব্যাবসায়ীরা। তবে, অনেক ক্ষেত্রেই উপক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দোহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া ও মেঘুলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটা ব্যাপকভাবে জমে উঠতে শুরু করেছে মার্কেট গুলোতে। মার্কেট খুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ও জনসচেতনার লক্ষ্যে দোহার উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। দোহার উপজেলার জয়পাড়া এলাকার সড়কজুড়ে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, প্রাইভেট কার ও ব্যাক্তিগত মোটরসাইকেল চলাচল করেছে। রাস্তায় প্রচুর মানুষের সমাগম। মানুষের স্রোতের কারণে সড়কে যানজটও দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটগুলোতে নানা বয়সী মানুষের ভিড় বাড়তে দেখা গেছে। মার্কেটগুলোতে অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতা মাস্ক ব্যবহার করলেও সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি কেউ মানছেনা। তীব্র ভিড় উপেক্ষা করে কেনাকাটা করছেন সবাই।

অন্য খবর  ফরমালিন মুক্ত জয়পাড়া বাজার

মার্কেট, শপিং মলগুলোতে মানুষের ভীড়ে হাঁটার জায়গা পর্যন্ত নেই। মার্কেট, শপিং মলে কেনাকাটার যে প্রক্রিয়া তাতেও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। কারণ কাপড়, কসমেটিকস, জুতা এগুলো ক্রেতারা অনেকে স্পর্শ করবে এবং সেগুলো প্রতিনিয়ত জীবণুমক্ত করা সম্ভব নয়। ঈদের আগে মার্কেট, শপিং-মলে যে ভীড় হয়, সেক্ষেত্রে এসব স্থান করোনা সংক্রমণের উপযুক্ত স্থান বলে মনে করছেন অনেকে।

তবে মানুষের এই উপচেপড়া ভীড় করোনার আতংক সৃষ্টি করেছে। দোহারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে ঈদ কেনা কাটায় ক্রেতাসাধারণের ভীড়। বিশেষ করে মহিলাদের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক বেশি।

এ বিষয়ে, দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, সরকারের সিদ্ধান্তে মার্কেট ও দোকানপাট খুলেছে। করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। আমরা ব্যবসায়ীসহ ক্রেতাদের বিভিন্নভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

আপনার মতামত দিন