দোহার থেকে পুলিশে নিয়োগ পেলেন ৩০ জন, দোহার থানার সংবর্ধনা

560
দোহার থেকে পুলিশে নিয়োগ পেলেন ৩০ জন, দোহার থানার সংবর্ধনা

সারা দেশের মতো দোহার থেকেও ১০০ টাকার বিনিময়ে চাকরি পেল ৩০ জন। স্বচ্ছ ও পরিস্কার উপায়ে দৃষ্টান্ত রাখল ঢাকা জেলা পুলিশ। মেধা ও যোগ্যতার মাপকাঠিতে মাত্র ১০০ টাকাতেই মিলল পুলিশে চাকরি! এরকম ১০০ টাকায় কনস্টেবলে চাকরি পাওয়া  দোহার উপজেলার ৩০ জনকে নিয়ে ব্যাতিক্রমী অনুষ্ঠান আয়োজন করে দোহার থানা পুলিশ।  চাকরি পাওয়া ছেলে-মেয়েদের সাথে ডাকা হয়েছিল অভিভাবকদেরও। আমন্ত্রণ জানান স্থানীয় সাংবাদিকদেরও। পুলিশে যোগ দেয়া নতুন সদস্যদের হাতে ফুল দিয়ে মিস্টিমুখ করান সিরাজুল ইসলাম। দেয়া হয় ট্রেনিং ও আগামীর কর্মপন্থা সম্পর্কে নানা নির্দেশনা। নতুন পুলিশ সদস্যদের নিয়ে এমন একটি আয়োজনে প্রশংসা করেন উপস্থিত সবাই।

দোহার থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমানের নির্দেশে ব্যতিক্রম এমন একটি আয়োজন করেছি। নতুন নিয়োগ পাওয়া পুলিশ সদস্যদের আগামীর কর্মপন্থা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। তাদের ভেতরে ট্রেনিং বা কোন কিছু নিয়ে যেন শঙ্কা কাজ না করে। ঢাকা জেলার দোহার উপজেলা থেকে ২৬ জন ছেলে ও ৪ জন মেয়ে নিয়োগ পেয়েছে কনস্টেবল পদে। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোন ধরণের অনিয়ম ছাড়া নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শুধুমাত্র ১০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে পুলিশে চাকরি পেয়েছে ওরা। এটা ঢাকা জেলা পুলিশের আরেকটি দৃষ্টান্ত।

অন্য খবর  সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী রাজীব

অনুষ্ঠানে চাকরি পাওয়া ছেলে-মেয়েদের অভিভাবকরা বলেন, আমরাও কল্পনা করতে পারেনি মাত্র ১০০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েই পুলিশে চাকরি হয়ে যাবে আমাদের ছেলে-মেয়েদের। পুলিশের চাকরি নিয়ে অনেক দূর্ণাম ছিল। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার ও দোহার থানার ওসি যেটা করলেন তা আমাদের মনে থাকবে।

উল্লেখ্য পুলিশে নিয়োগ নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেছিলেন ১০০ টাকায় মিলবে পুলিশে চাকরি, তিনি আর কথা রেখেছেন।

এই বছরের নিয়োগ নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন গত বছরের মত এ বছরও ঢাকা জেলায় স্বচ্ছতার সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্য আমরা কাজ করেছি। নিয়োগ প্রার্থীরা ১০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট/ পে-অর্ডারে সরকারের খাতে জমা দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পুলিশে চাকরি পেয়েছে। চাকরি পাওয়ার জন্য দালাল বা অন্য কারো সাথে কোন প্রকার অর্থনৈতিক লেনদেন যাতে না করতে পারে সেখানেও আমরা দৃষ্টি রেখেছি কৌশলে। বিষয়টি স্বচ্ছ করতে মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে মুসল্লিদের মাঝে প্রচারের পাশাপাশি মাইকিং করা হয়েছে এলাকাগুলোতে। পুলিশে নিয়োগ নিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি যাতে নষ্ট না হয় কোন কারণে সে লক্ষে আমি কাজ করে যাচ্ছি। পুলিশে চাকরি নিতে হলে অনিয়ম আর তদবিরে কাজ হবে না। চাকরিতে আসতে হবে মেধা আর যোগ্যতায়।

আপনার মতামত দিন