news39.net: দোহার থানায় ঢাকা-১ সাংসদ সালমান এফ রহমানসহ ১৭৪ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। রোববার সকালে দোহার থানায় এ মামলা করা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন দোহারের রামনাথপুর গ্রামের মো. শাজাহান মাঝি।
মামলায় সালমান এফ রহমান ছাড়াও দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, দোহার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হক বেপারী, পৌর মেয়র আলমাছ উদ্দিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন মিয়া, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন জালাল, দোহার পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার মাঝি, দোহার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আলমাস, সাধারণ সম্পাদক রহমান আকন্দসহ দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রথমসারির নেতাকর্মীরা রয়েছেন। আছেন বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানও।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে বাদী ও তার স্বজন সোনিয়া আক্তার দোহার করম আলীর মোড়ে যান। এ সময় সালমান এফ রহমানের পরোক্ষ মদদে দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অস্ত্র হাতে তাদের ওপর হামলা করে। এতে শাজাহান মাঝিসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। মামলায় হামলা জখম ও বিস্ফোরক ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাজাহান মাঝি বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে সন্ত্রাসীরা আমার ওপর হামলা করে। এ সময় আরও অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন।
সাধারণ ছাত্ররা এই বিষয়ে বলেন, আক্রান্ত মূলত হয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাই, মামলার বিষয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে প্রকৃত দোষীদের যারা বাদ পড়েছেন তারা তালিকাভুক্ত হতেন। একইসাথে, যারা অহেতুক মামলায় এসেছেন, তারা হয়রানি হতেন না। ৪ ও ৫ অগাস্টসহ ১৮,১৯ জুলাইয়ের ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিলে, মামলা আরও কার্যকর হতো।
দোহার থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, সালমান এফ রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৭৪ জনকে এজাহার নামীয় ও ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।