দোহারে সংঘবদ্ধ চোরচক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

144
দোহারে সংঘবদ্ধ চোরচক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার দোহার উপজেলায় আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও চুরিকৃত অটোগাড়ি উদ্ধার করেছে দোহার থানা পুলিশ। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দোহার সার্কেল এর সিনিয়র পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকুতরা হলেন, শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার কানাইকাঠি এলাকার মৃত ইসমাইল সরদারের ছেলে স্বপন সরদার (৪৬), বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার লক্ষীপুর উপজেলার জয়নাল হাওলাদারের ছেলে মোঃ বাবুল হাওলাদার (৪৫), একই উপজেলার সোনামদ্দিন বন্দর এলাকার রহমান কাজীর ছেলে মোঃ কামাল কাজী (৪৬) ও মাদারীপুর জেলা শিবচর উপজেলার রাজারচর কাজী কান্দি উপজেলার মৃত হাকিম হাওলাদারের ছেলে মোঃ খোকন হাওলাদার।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধার সময় দোহার উপজেলার ডাইয়া গজারিয়া (মিজানগর) এলাকার মোঃ শেখ আনোয়ারের ছেলে মোঃ সুমন শেখ (৩২) তাহার ইজিবাইকটি চালানোর উদ্দেশ্যে বাহির হলে সন্ধ্যা অনুমানিক ০৫.১৫ টার সময় তিনি উপজেলার মুকসুদপুর সংলগ্ন ডাক বাংলো মোড়ে পদ্মা নদীর সংলগ্ন পাকা রাস্তার পাশে তাহার অটোগাড়ির ঘাড়ে তালাবন্ধ করে পদ্মা নদীর পাড়ে যায়।

অন্য খবর  শুভ জন্মদিন সালমান এফ রহমান

পরে আনুমানিক ১৫ মিনিট পর এসে দেখেন তাহার অটোগাড়িটি নাই। পরে আশপাশের এলাকা ও বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করেও তিনি অটোগাড়িটি খুঁজে না পেয়ে ওই দিনই দোহার থানায় অজ্ঞাতনামা একটি অটোগাড়ি চুরি হওয়ার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন মোঃ সুমন শেখ । পরে এরই ভিত্তিতে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার) নির্দেশে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় দোহার সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে ও অপারেশন পরিকল্পনায় দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ দোহার থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত আন্তঃজেলা চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

দোহার সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম বলেন, আন্তঃজেলা চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে চোরাই অটোগাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এ সময় তাহাদের কাছে থেকে ২টি মাস্টার কি উদ্ধার করা হয়। যার দ্বারা যেকোন ইজিবাইক কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেমে তালা খুলে চুরি করে নিয়ে যাওয়া যায়। চুরি করা অটোরিকশার যন্ত্রাংশ ঢাকার মোহাম্মদপুর ও কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে বলে জানায় চোরচক্রের সদস্যরা। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানা একাধিক মামলা রয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের সাথে আরো কারা কারা জড়িত রয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

আপনার মতামত দিন