দোহারে যুব সংহতির সমাবেশ করতে বাধার অভিযোগ

267

দোহার উপজেলা জাতীয় যুবসংহতির পরিচিতি সভা আয়োজনে বাধা দিচ্ছেন বলে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম উল হক পারভেজের নামে অভিযোগ করেছেন দোহার যুবসংহতির নেতাকর্মীরা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে এই পরিচিতি সভা করার জন্য ওই কলেজের অধ্যক্ষের অনুমতি নেয়া হয়েছে। এ জন্য মাঠের সাজসজ্জাসহ প্রয়োজনীয় সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান দোহার উপজেলা যুবসংহতি সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন।

অধ্যক্ষ কর্তৃক কলেজ মাঠ বরাদ্দ সংক্রান্ত চিঠির কপি দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেনের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হঠাৎ করে ঘোষণা দেন, মন্ত্রীর অনুমোদন নেই, তাই কলেজ মাঠে পরিচিতি সভা করা যাবে না। ইউএনওর এই অদ্ভুত যুক্তিতে যুবসংহতির নেতাকর্মীরা স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। কারণ যুবসংহতি হচ্ছে ক্ষমতাসীন মহাজোটভুক্ত দল জাতীয় পার্টিরই একটি অঙ্গসংগঠন। ২৭ সেপ্টেম্বর এ মাঠে মন্ত্রীর বা আওয়ামী লীগের কোনো অনুষ্ঠান নির্ধারিত নেই। তাছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারাও জারি করেনি। স্থানীয়রা বলছেন, ইউএনওর অতি উৎসাহ সরকারের জন্য বিব্রতকর অবস্থা তৈরি করেছে।

অন্য খবর  দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে দোহার গ্রীন আর্মির সাক্ষাত

কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, যুবসংহতি বরাদ্দের জন্য আবেদন করায় ২৭ সেপ্টেম্বর কলেজের মাঠ ব্যবহারের জন্য তাদের অনুমতি দেয়া হয়। কলেজ বন্ধ থাকলে সামাজিক যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য মাঠ বরাদ্দ দেয়া যেতে পারে এবং সেভাবেই মাঠ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

যুবসংহতি সূত্রে জানা গেছে, ইউএনও শামীম উল হক পাভেল জানিয়েছেন, মাঠের সাজসজ্জা দেখে মন্ত্রী বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। মন্ত্রীকে তৎক্ষণাৎ বিস্তারিত বলতে না পারলেও পরে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। সাফকথা হল, ওপরের অনুমতি ছাড়া সভা করতে দেয়া হবে না। ওপর মানে কি? জবাবে তিনি বলেন, সেটা বুঝে নিতে হবে। নিউজ৩৯ শামীম উল হক পারভেজের সাথে ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

এদিকে যুবসংহতি জানায়, তারা তাদের নির্ধারিত অনুষ্ঠান করবেই। কোনো অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়দায়িত্ব ইউএনওকেই বহন করতে হবে।

আপনার মতামত দিন