ঢাকার দোহার উপজেলায় কলা গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিচারে মারামারিতে সাংবাদিকসহ ৪ জন আহত হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে দোহার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আতাউর রহমান সানিসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দোহার উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের খালপাড় আম্বুর দোকান এলাকায় আবুল কাশেম ওরফে কাশি ও তার ভাতিজা ওয়াজ উদ্দিনের সাথে গাছ কাটা নিয়ে পাশের বাড়িতে বিচার বসে। বিচারে প্রধান বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা মুক্তিযুদ্ধো চলাকালীন সময়ে কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রজ্জব মোল্লা ও স্থানীয় লোকজন। সেখানে কাশির পক্ষ নিয়ে বিচারে আসে স্থানীয় সম্রাট মোল্লা ও তার লোকজন। বিচার চলাকালীন এক পর্যায়ে রজ্জব মোল্লার সাথে সম্রাট মোল্লার কথা কাটাকাটি হলে বিচার ছেড়ে চলে যান রজ্জব মোল্লা।
এমন সময় বিচারে উপস্থিত দোহার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আতাউর রহমান সানি তার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছে ভেবে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় উত্তেজিত লোকজন। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হলে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
এ বিষয়ে আহত বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার চাচা কাশির সাথে আব্দুল মান্নানের চাচার ছেলে ওয়াজ উদ্দিনের সাথে গাছ কাটার বিষয় নিয়ে আজকে বিচার হচ্ছিলো। হঠাৎ বিচারের শেষ দিকে তখন সম্রাট মোল্লা রজ্জব মোল্লার উপর চড়াও হয়ে উঠলে পরিস্থিতি একটু গরম হয়ে যায়। অবস্থার বেগতিক দেখে রজ্জব মোল্লা বিচার থেকে চলে যাওয়ার পরেই সম্রাট মোল্লার অনুসারীরা হঠাৎ করে সাংবাদিক আতাউর সানির হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে তার উপর হামলার চেষ্টা করে, আমি পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে আমার উপরও হামলা করে আমাকে রক্তাক্ত করে ফলে ওরা। এমনকি আমার বৃদ্ধ মা ও চাচাতো ভাই ফারুক এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা করে রক্তাক্ত করে ফেলে। বিচারে আমিও একজন বিচারক হিসেবেই সেখানে উপস্থিত ছিলাম।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসআই দেলোয়ার জানান, অভিযোগটা আমার কাছে ছিলো। তারা স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টা মীমাংসা করবে বলে আমাকে ফোন দিলে আমি সেখানে যাই। হঠাৎ উভয় পক্ষের লোকজন হাতাহাতি শুরু করলে কয়েকজন আহত হয়। বিষয়টি হটাৎ করেই সংঘটিত হয়ে যায়।
এ বিষয়ে সম্রাট মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কাউকে মারধর করিনি। আমি দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলায় সকলের নিকট সুপরিচিত। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
দোহার থানার ওসি তদন্ত আজহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয় দোহার প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, আমি এর তী নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দোহার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতাউর সানীর উপর আঘাতকারীদের অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।