দোহারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি; পানিবন্দি হাজারো মানুষ

186
দোহারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি; পানিবন্দি হাজারো মানুষ

দোহার উপজেলার কয়েদিন ধরে পদ্মা নদীর পানি বাড়তে শুরু করায় সাধারণ মানুষের  মধ্যে  দুর্ভোগ ও  হতাশা  প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই থেকে নতুন নতুন এলাকায়ও পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। মৌসুমে ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানির ঢলে ইতোমধ্যে দোহার উপজেলার মাহমুদপুর, বিলাশপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি এসব এলাকার স্থানীয় মানুষ বন্যার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সে সাথে সাপেরও উপদ্রব দেখা দিচ্ছে।

তাদের দাবি দোহার একটি নদী ভাঙ্গা এলাকা পানি হলেই নদী ভাঙ্গা শুরু হয়। তাছাড়া সর্বগ্রাসী পদ্মা নদী প্রতি বছর বর্ষার সময় তাদের বসতবাড়ি, চাষের জমিসহ হাট-বাজার, মসজিদ, মন্দির, সড়ক সেতু গিলে খাচ্ছে। সে জন্য তারা এই নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে বাঁচতে নদীর বাঁধ নির্মাণ চাচ্ছে সরকারের কাছে।

সরেজমিন গিয়ে দোহার উপজেলার দেখা যায় মেঘুলা কলেজ, মধুরচর, হরিচন্ডি, কুতুবপুর, রাধানগরসহ বিলাশপুর, মাহমুদপুর, নারিশা, মুকসুদপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন পার করছে। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পদ্মার পানি ইতোমধ্যে প্রবেশ করেছে।

এসব এলাকার বেশ কিছু বাড়ি উঠানসহ অনেক ঘরেও পানি প্রবেশ করেছে। এতে পরিবার-পরিজন ও হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন।

অন্য খবর  ইছামতীর তীরের অবৈধ স্থাপনা

এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে, দুই-এক দিনের মধ্যে আরও অনেক নতুন নতুন এলাকা পদ্মার পানিতে প্লাবিত হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফএম ফিরোজ মাহমুদ বলেন,আমরা পানিবন্দী এলাকা গুলো ঘুরে দেখেছি। পানিবন্দি অবস্থায় যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য আমরা তাদের থাকার জন্য থাকার আশ্রয় কেন্দ্র ঠিক করে রেখেছি। প্লাবিত গ্রামের হতদরিদ্র মানুষদের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমে ত্রাণের বিষয়ে কথা বলেছি। আতি দ্রুত তাদের মাঝে আমরা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করবো।

আপনার মতামত দিন