পদ্মায় ক্রমাগত পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে দোহারে। পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট বন্যায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে দোহারের ২০ হাজার মানুষ। বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে বেশ কিছু বিদ্যালয়।
দোহারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে নতুন বেশ কিছু অঞ্চল। দোহারের সর্ব পশ্চিমের ইউনিয়ন নয়াবাড়ির এক তৃতীয়াংশ বন্যা কবলিত। বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় নয়াবাড়ির ধোয়াইর ও বাহ্রা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে। বন্যার পানি দিনে দিনে বৃদ্ধি পাওয়ায় যেকোন সময় বন্ধ ঘোষনা করা হতে বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়।
এদিকে কুসুমহাটি ইউনিয়নের বেরিবাধের বাইরের অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বন্যার পানিতে। এরই মাঝে বন্যার পানি প্লাবিত হওয়ায় বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে সুন্দরীপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে এই ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার।
এদিকে চর মাহমুদপুর ইউনিয়ন ও বিলাশপুর ইউনিয়নের নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বন্যা ও ভাঙ্গনে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ধারন করেছে নারিশা ইউনিয়নে। পদ্মার ভাঙ্গনে হুমকির মুখে মেঘুলা বাজার। আর ক্রমাগত পানির চাপ বাড়ার কারনে হুমকির মুখে রয়েছে দোহার থেকে ঢাকার সড়ক পথ। কিছু কিছু জায়গায় পানি প্রায় বেড়িবাধের সমান হয়েগেছে। ফলে যেকোন সময় বেরিবাধের উপর দিয়ে পানি উপচে পড়ে প্লাবিত হতে পারে নতুন নতুন অঞ্চল।
বন্যা দূর্গতদের ত্রান সহায়তা নিয়ে এখনও উপজেলা প্রশাসন কোন উদ্যোগ দেয় নি।