দোহারে পার্কিং নিয়ে দ্বন্দ, প্রভাবশালী দুইপক্ষের মারামারি, আহত-৭

1053

স্টাফ রিপোর্টার: দোহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া বাজারে মোটরসাইকেল পার্কিং নিয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামীলীগের দুই প্রভাবশালী জড়িত হয়ে যাওয়ায় তা আতংকিত করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা ইদ বাজার মুহুর্তে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। ঘটনার সময় ৭জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

পরবর্তীতে, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বাজার পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সরজমিনে জানা যায়, জয়পাড়া বাজারের এমব্রেলা শপিংমলের সামনে সুরুজ নামে এক যুবক মটরসাইকেল পার্কিং করে। এ নিয়ে শপিংমলের বিক্রয়কর্মীদের সাথে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি নিয়ে শপিংমল কর্তৃপক্ষ বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মাঝি এবং বিলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ চোকদারকে সাথে নিয়ে মীমাংসায় বসলে, সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রুপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের আহত হয় অন্তত ৭জন। আহতরা হলেন, মো. সুরুজ (২২),সবুজ (২৪),জামিল (২৫), খলিল (২২), সুজন (২৭), আজগর (৩৫), শুভ (১৭)।

আহতদের মধ্যে জামিল ও সুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায়, তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়।

অন্য খবর  SAMS'92 সদস্য বরগুনার ডিসি হাবিবুর রহমানকে সংবর্ধনা

জয়পাড়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার মাঝি অভিযোগ করেন, মটরসাইকেল পার্কিং নিয়ে দ্বন্দের ঘটনায় রাশেদ চোকদারের নির্দেশে কতিপয় সন্ত্রাসী বাজারের ব্যবসায়ীসহ আরও বেশ কয়েকজনকে মারধর করেছে।

এষিয়ে বিলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ চোকদার বলেন, বিলাশপুরের একটি ছেলেকে মারধরের ঘটনায়, মিমাংসার জন্য আমি জয়পাড়া বাজারে যাই। সেখানে দেলোয়ার মাঝি আমাকে দেখেই আমার সাথে অশোভন আচরণ করে এবং উত্তেজিত হয়ে উঠে। এরপর আমি কথা বলা শুরু করলে, সে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলে। এসময়, তার নির্দেশে আগে থেকেই থাকা কিছু লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। আমি বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনকে অবহিত করে, চলে আসি।

এদিকে, ঘটনার শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায় দোহার থানা পুলিশ। একপর্যায়ে লাঠিচার্জ করে পরিবেশ শান্ত করে। এসময় প্রায় দুই ঘন্টা বাজারের দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। দোহার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন। একইসাথে, ব্যবসায়ীদের ও ক্রেতাদের নির্ভয়ে ইদ ব্যবসা পরিচালনার আহবান জানান।

এবিষয়ে দোহার থানা ওসি মো.হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা সম্পুর্ণ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করি এবং ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় জয়পাড়া বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করি। এবিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি।

আপনার মতামত দিন