দোহারে পদ্মা বাঁধ নির্মাণ কাজে ধীরগতির অভিযোগ

1896

দোহারের পদ্মা বাঁধ নির্মাণ কাজের ধীরগতি ভাবিয়ে তুলেছে নদী ভাঙন কবলিত মানুষকে।  নিকটবর্তী দোহার উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়নটি পদ্মা তীরে অবস্থিত। গত দুই যুগে ২০ হাজার পরিবার আবাসস্থল হারিয়ে ছিন্নমূল হয়েছে। এসব পরিবার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে একনেকে দোহারে পদ্মা নদীর বাঁধ নির্মাণে ২১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার বিল পাস হয়। ২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয় বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ।

গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর কার্যাদেশ পেয়ে সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘হোসেন অ্যান্ড সন্স’ কাজটি শুরু করে। আগামী বছরের ৩০ জুন কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা ঝিমিয়ে পড়েছে। ধীর গতিতে কাজ করায় পদ্মাপাড়ের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে। তাদের মতে, আগামী বর্ষা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকলে এটি আরও দীর্ঘসূত্রতায় পড়বে। ফলে ভাঙনের আতঙ্কে দোহারের নয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাধারণ বাসিন্দাদের। অরঙ্গাবাদ থেকে বাহ্রাঘাট পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ কবে শেষ হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। খোদ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ কাজে ধীরগতির কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কাজের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে ব্লক তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের কথা বললে কর্মকর্তা প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। স্থানীয়দের দাবি, বাঁধের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় আগামী বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ভেঙে যেতে পারে নির্মাণাধীন বিভিন্ন অংশ। এতে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে পদ্মাপাড়ের মানুষ।

অন্য খবর  দোহারে ইউপি নির্বাচনে সুষ্ঠ ভোটের দাবিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

সরেজমিন দেখা গেছে, স্বল্পসংখ্যক শ্রমিক দিয়ে চলছে বাঁধের কাজ। ২০১৮ সালের জুন নাগাদ কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বলে দাবি এক নির্মাণ শ্রমিকের। ১৬ লাখ বালুর বস্তা ফেলে ডাম্পিংয়ের কাজ করার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত মাত্র ৫ লাখ বস্তা ফেলা হয়েছে। এরই মধ্যে পদ্ম নদীতে শুরু হয়েছে জোয়ার। এ মৌসুমে আর কাজ করার পরিবেশ নেই। ফলে আতঙ্কে নয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের বাসিন্দারা।

সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘হোসেন অ্যান্ড সন্স’-এর স্বত্বাধিকারী এমএ হালিম বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। দুই তিন দিন পরে কাজের সাইডে আসব। তখন দেখা কইরেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য বলেন, কাজের গুণগতমান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাগিদ দেওয়া হবে।

 

আপনার মতামত দিন