ঢাকার দোহার উপজেলায় পদ্মা নদীতে বৈদ্যুতিক শক ব্যবহার করে মাছ ধরার অপরাধে ৭ জন জেলেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের মৈনটঘাট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালিত করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন দোহার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন খান।
অভিযানে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ শিকারের সময় ৭ জন জেলে ধরা পরে। পরে তারা মোবাইল কোর্টে দোষ স্বীকার করায় তাদের দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন: মো. শেখ মুন্না (৪০), শেখ আজিজের ছেলে, নারায়নপুর,মো. ইকবাল (৩০), রহিম খার ছেলে, মাহমুদপুর হাজামবাড়ি মোড়,মো. মিরাজ বেপারী (২৯), লাল মিয়া বেপারীর ছেলে, মাহমুদপুর,শেখ নয়ন (৪৫), মৃত শেখ লাল মিয়ার ছেলে, মাহমুদপুর,মো. রবিউল (৩৫), জয়নাল বেপারীর ছেলে, চরকুসাই চর,মো. মুকুল মোল্লা (৪২), মৃত মুনসের মোল্লার ছেলে, নারায়নপুর,জাহাঙ্গীর শিকদার (৩০), সাকিম আলী শিকদারের ছেলে, নারায়নপুর।
জব্দকৃত সরঞ্জাম:১২ ভোল্টের ২টি ব্যাটারি,১টি ইনভার্টার মেশিন,৪টি ছাঁক/জাল,কিছু জিআই তার।
এ বিষয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন খান বলেন, “বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ ধরার কারণে নদী ও খালের জলজ প্রাণীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছ কমে যাচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। তাই পরিবেশ ও জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং দেশীয় মাছের উৎপাদন বাড়াতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।
অভিযান পরিচালনায় দোহার থানা পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা সহযোগিতা করেন।