দোহারে নিম্নমানের ইট খোয়া ও পাথর দিয়ে রাস্তা সংস্কার

368

ঢাকার দোহার উপজেলার দোহার বাজার-নিকরা আন্তঃমহাসড়কের সংস্কার কাজে নিুমানের ইট, খোয়া ও পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করায় ঠিকাদারের পক্ষ নিয়ে সওজ প্রকৌশলীদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়েছে। সওজ কর্মকর্তাদের মাঝে ঘটনাটি বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। 

নাম প্রকাশ না করে একজন সওজ কর্মকর্তা বলেন, কাজের ক্রুটি ধরায় ঊর্ধ্বতন এক প্রকৌশলী তার অধীনস্থের বিরুদ্ধে ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি করেছে মর্মে অভিযোগ তুলতে ঠিকাদারকে উৎসাহিত করেছেন। 

মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দোহার-কাটাখালী-নিকরা-গালিমপুর-টিকরপুর সড়কের দোহার অংশে সাড়ে তিন কিমি. রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে। প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এনটি-কেসিই জয়েন্ট ভেঞ্চার নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজের দরপত্র পায়। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষদিকে কার্যাদেশ পেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করে। রাস্তায় ব্যবহৃত ইট, খোয়া ও পাথর নিম্নমানের  এবং (থিকনেস) পুরুত্ব কম থাকায় সওজের একজন প্রকৌশলী তাতে বাধা দিলে ঠিকাদার তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করেই রাস্তার কাজ তড়িঘড়ি করে শেষ করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও সওজ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। 

অন্য খবর  টানা বর্ষণে বেহাল দশা দোহার নবাবগঞ্জের রাস্তাঘাটের

অভিযোগ আছে, সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ হায়দার কামরুজ্জামানের সঙ্গে যোগসাজশে ঠিকাদার এসব কাজ করছেন। এ কাজের বিষয়ে অধস্তন কর্মকর্তাদের তিনি শাসিয়ে ঠিকাদারের পক্ষ অবলম্বন করেছেন।

প্রকৌশলী কামরুজ্জামান মোবাইলে বলেন, নিম্নমানের কাজ হচ্ছে এটা কিভাবে বুঝলেন? কাজ ভালো হচ্ছে। খারাপ কাজের কোনো অভিযোগ নেই। এরপর তিনি পরে কথা হবে বলে মোবাইলের সংযোগ কেটে দেন। সওজের মুন্সীগঞ্জ অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী তারেক ইকবালের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি সংযোগ কেটে দিয়েছেন। পরে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠালে তিনি উল্টো বার্তা পাঠিয়ে বলেন, কিছু জানার থাকলে মোবাইলে বার্তা পাঠান। এরপর তার সঙ্গে আর কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার আবুল কালাম কানন বলেন, কাজে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। সওজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সব দেখেছেন। তবে তিনি সওজের প্রকৌশলীর সঙ্গে খারাপ আচরণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। রাস্তার পাশে জায়গা না থাকায় কোথাও কম প্রস্থে কাজ করছেন বলে স্বীকার করেন তিনি। কাজের বিষয়ে তার কাছে কেউ কোনো চাঁদা দাবি করেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ঠিকাদার কানন বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। নিকরার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। সরকার কাজ শুরু করলেও তা খুব নিুমানের মালামাল দিয়ে করা হচ্ছে। এটি টেকসই হবে না।

অন্য খবর  ঢাকা বিভাগের অধীন সকল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সভা আজ

সুতারপাড়ার ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলেন, ঠিকাদার ও প্রকৌশলী মিলে তাড়াহুড়া করে নিুমানের কাজ করছে। রাস্তার অনেক অংশেই দরপত্রের নিয়ম না মেনে ১৮ ফুটের স্থলে ১৪-১৫ ফুট প্রস্থে কাজ হচ্ছে। রাস্তাটির কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সওজের মুন্সীগঞ্জ অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আলম বলেন, কাজে কিছু ত্র“টি হয়েছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত জানিয়েছি।

আপনার মতামত দিন