দোহারে নদীতে স্পীডবোটের সংঘর্ষে: নিহত ১

308

ঢাকা দোহারের পদ্মা নদীতে স্পীডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে শুকুমার হালদার (৬৫) নামের একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত শুকুমার ফরিদপুরের কতুয়ালী থানার গাহু লক্ষীপুর এলাকার শিরিশ হালদারের পুত্র।

প্রত্যক্ষ দর্শী সূত্রে জানাযায়, গত শনিবার বিকেলে ফরিদপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে উপজেলার নূরুল্লাহপুরের ঐতিহ্যবাহী মেলা দেখতে আসেন নিহত শুকুমার হালদারসহ আরও অনেকে। তারা সকলেই সারারাত মেলা উপভোগ করে পরের দিন রবিবার (৫ ফেব্রয়ারী) আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মৈয়নটঘাট থেকে স্পীড বোটে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে দোহার ও ফরিদপুরের বডার এলাকার ঝাউকান্দা পর্যন্ত পৌছাঁলে সেখানে ঘনকুয়াশায় ঘেরা থাকায় অপরদিকে থেকে আসা একটি স্প্রীড বোটের সাথে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় স্প্রীড বোট উল্টে গিয়ে সকলে পানিতে ডুবে যায়। পরে পাশেই থাকা অপর একটি স্প্রীড বোট ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় গুরত্বর আহত অবস্থায় মোঃ মতিউর রহমান ও শুকুর হালদারকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুকুর হালদারকে মৃত বলে ঘোষনা করেন এবং আহত মোঃ মতিউর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবেঃ সালমান এফ রহমান

স্পীডবোটে থাকা কবির হোসেন বলেন, নূরুল্লাপুরের মেলা দেখতে এসেছিলাম। বাড়িতে ফেরার পথে পদ্মানদীতে ঘন কুয়াশা থাকায় কিছু দেখা যাচ্ছিল না। এমন সময় অপরদিক থেকে আসা একটি স্পীড বোটের সাথে ধাক্কা লেগে বোট উল্টে গিয়ে এমন ঘটনা গটে।

এ ঘটনার খবর পেয়ে দোহার থানার কুতুবপুরের নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌছে সবাইকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নেন।

দোহার থানার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার তামিম হাওলাদার জানান, দোহারে মৈনট ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ও ফরিদপুর থেকে আসা স্পিড বোটের দুটির সাথে সংর্ষসে হয়। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থানে পৌঁছে সবাইকে উদ্ধার করি। আহত দুইজনকে হাসপাতালে নিলে একজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন এবং আরেকজনের অবস্থা আশংঙ্কা জনক হওয়া তাকে ঢাকা পাঠানো হয়।

দোহার থানার কুতুবপুরের নৌ-পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে কুতুবপুরের নৌ-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে প্রায় ১৫ জন লোক ছিলো তাদের সবাইকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নেওয়া হয়। পরে মোঃ মতিউর রহমান ও শুকুমার হালদারকে মুমুর্ষ অবস্থায় উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক শুকুর হালদারকে মৃত বলে ঘোষনা করেন এবং আহত মোঃ মতিউর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।

অন্য খবর  উদ্বোধন করা হলো নারিশা ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার ল্যাব

পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নিহত শুকুর হালদারের এলাকার কবির হোসেনের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন।

আপনার মতামত দিন