দেশে দ্রুত শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, উৎপাদন, রফতানি বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতেই সম্ভাবনাময় এলাকাগুলোয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় সরকার। আর এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সম্ভাব্য স্থানের জায়গায় সবার উপরেই আছে দোহার উপজেলা।
ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজও এগিয়ে চলেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার যাবতীয় বিষয় তত্ত্বাবধান করছেন। প্রতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির খোঁজ রাখছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
আগামী ১৫ বছরের মাঝেই সম্পূর্ণ হবে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে কিছু অঞ্চলের। দোহারেও ইতিমধ্যে স্থান নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও এই কাজের স্থান নির্বাচনের জন্য বেশ কয়েকবার ঘুরে গেছেন। এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে এগিয়ে আছে দোহারের কার্তিকপুরের মৈনট। আর গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফুলতলা পুলিশ ফাঁড়ির ভবন ও ফায়ার ষ্টেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধনের সময়ও একই কথা আবার বলে গেছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, কৌশলগত কারণেই অনুমোদিত এই ৩০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীন ও জাপানের বিনিয়োগকারীদের জন্য ২টি অর্থনৈতিক অঞ্চল সংরক্ষিত আছে। ভারতের বিনিয়োগকারীদের জন্যও এ রকম একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল সংরক্ষিত রাখার পরিকল্পনা সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি খাতে আরও ৬টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সব অর্থনৈতিক অঞ্চলে সরকারের পক্ষ থেকে জমি, গ্যাস, বিদ্যুৎ সংযোগ, যোগাযোগ অবকাঠামো যোগানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।