ঢাকার দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শামসুল হক শিকদার (৮০) নামে এক বৃদ্ধা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ছ’টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি ঢাকা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রোকেয়া পারভীন জুই ও জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংঘ ( জাসাস) এর সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান জুয়েলের পিতা। খালেকুজ্জামান জুয়েল গ্রাজুয়েট এসোসিয়েশন অব দোহার (গ্যাড) এর প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক এবং রোকেয়া জুই বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।
শামসুল হক শিকদারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারই ছোট মেয়ে সালমা আক্তার। তিনি বলেন, আমরা আমার বাবাকে ঈদের দুই দিন আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে থেকে পরে আমরা ঈদের দিন ইমপালস হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করি। সেখানে তিনি দুই দিন ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ছ’টায় শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন। তার করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। একইসাথে বাবার হার্টেরর সমস্যা ছিল। মৃত্যুকালে বাবা তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে যান।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জসিমউদদীন বলেন, জনাব শামসুল হক শিকদার(৮০)। তিনি দোহার উপজেলায় ১৫ জুলাই করোনা টেস্ট করান। পরের দিন তার করোনা পজেটিভ আসে। তিনি আমাদের এখানে ১২৬৬ তম করোনা পজিটিভ রোগী ছিলেন।
মৃত ব্যাক্তির লাশ দাফন করেন সুলাইমান বেপারীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দোহার থানা শাখার স্বেচ্ছাসেবক টিম।
স্বেচ্ছাসেবক টিমের সহকারী সমন্বয়ক মাওঃ যুবায়ের আহমেদ সাকী জানান, “করোনায় মারা যাওয়ার খবর পেয়ে আমাদের টিম প্রধান সুলাইমান বেপারী অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে মৃত ব্যক্তির, জানাযা ও দাফন কাজ সম্পন্ন করেন রাত ১টার দিকে। আজ আমরা ৩১ তম লাশ দাফন করলাম। আমাদের টিমের সমন্বায়ক মাওলানা আব্দুল গাফফার আল ফরিদী খুব অসুস্থ তার জন্য সবাই দুয়া করবেন। “
স্বেচ্ছাসেবক টিমে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা হলেন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ দোহার থানা শাখার সেক্রেটারি মো. সুলাইমান বেপারী।
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ দোহার থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা যুবায়ের আহমেদ সাকী, মাওলানা ইসমাইল বিন খলিল, মাওলানা ওমর ফারুক, আ.মালেক মো.আমির ও মো.নাঈম।