দোহারে ইলিশ সংরক্ষণে সচেতনতা ও জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ

156
দোহারে ইলিশ সংরক্ষণে

ঢাকার দোহার উপজেলায় মাহমুদপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ও সচেতনতার লক্ষ্যে আলোচনা ও ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় আশ্রায়ণ প্রাঙ্গণে মাহমুদপুর এবং কুসুমহাটি ইউনিয়নের ১১৪ জন জেলেদের মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। এসময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে  আলমগীর হোসেন বলেন, ১৪ অক্টোবর হতে ০৪ নভেম্বর ’২০ পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের ডিম ছাড়ার প্রধান মৌসুমে মৎস্য সংরক্ষণ- ১৯৫০ আইন অনুযায়ী সারাদেশে মা ইলিশ আহরণ, সংরক্ষণ,পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও আইনত দ-নীয় অপরাধ। আইন অমান্যকারীর শাস্তি কমপক্ষে এক বছর থেকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। এই ২২ দিন ইলিশ মাছ না ধরা হলে আমরা কোটি কোটি ইলিশ মাছ পাবো। সেই সাথে মৎস্য সম্পদ সম্মৃদ্ধশালী হবে । এক সময় আমরা যে ইলিশ আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায় ক্রয় করা হতো এখন তা ৭ শ’ থেকে ১ হাজার টাকায় ক্রয় করতে পারি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে ও রপ্তানি করতে পারছি। ইলিশ মাছ রপ্তানির মধ্য দিয়ে দেশের মৎস্য সম্পদের বড় একটা অংশ বৈদেশিক আয় করা যায়।

অন্য খবর  চায়না দোয়াইর: মৎস সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য নতুন হুমকি

দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্যাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- দোহার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা লুৎফর নাহার, নৌ পুলিশ কর্মকর্তা লুৎফর, নয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ হান্নান, মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

আপনার মতামত দিন