দোহারে আবারও ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

965

ঢাকার দোহার উপজেলার বিখ্যাত জয়পাড়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আর অভিযোগের তীর শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মানিক কুমার তালুকদারের বিরুদ্ধে। সোমবার (৪ জুলাই) সাড়ে তিনটায় জয়পাড়া ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিয়মিতই দোহারে বিভিন্ন ক্লিনিকে এমন দূর্ঘটনা ঘটে চলেছে। কিন্তু কোন এক রহস্যজনক কারণে এসব ঘটনার সুষ্ঠু কোন সুরাহা হচ্ছে না, ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়।

জানা যায়, দোহার উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের মধুরচর গ্রামের সালাউদ্দিন চৌকিদারের মেয়ে ৬ মাস বয়সী ছোট মেয়ে মুসকান ভুল চিকিৎসায় মারা যায়।

এবিষয়ে মৃত মুসকানের বাবা সালাউদ্দিন ও মা চাঁদনী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, সোমবার দুপুর ২টার দিকে ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে জয়পাড়া ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাতে আসি। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঐ ক্লিনিকের ডা. মানিক কুমার তালুকদার আমার মেয়েকে দেখে একটি ইনজেকশন ও অক্সিজেন দেয়। ইনজেকশন দেয়ার পরে আমার মেয়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। পুনরায় মানিক কুমারকে দেখালে অক্সিজেন দিতে বলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অক্সিজেন না দিয়ে, আমার মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলে। সাথে সাথে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মেয়ে মারা গেছে বলে জানায়।

অন্য খবর  রাস্তা থেকে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ

এই সংবাদ পেয়ে মৃতের আত্নীয় স্বজনসহ মৃত শিশুকে নিয়ে জয়পাড়া ক্লিনিকে গেলে, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক ও মৃতের আত্মীয় স্বজনের উপর চড়াও হয়। এসময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারীদের সাথে মুসকানের আত্মীয় স্বজনের বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এসময় পরিস্থিতি চরমে উঠে যায় এবং হাতাহাতি হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোহার থানা পুলিশের এসআই বারেক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ক্লিনিক মালিকপক্ষের হস্তক্ষেপে বিকেল ৬টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. মানিক কুমার তালুকদারের সাথে কথা বলতে জয়পাড়া ক্লিনিকে তার চেম্বারে গেলে দেখা যায় ডাক্তারকে ভেতরে রেখে; বাহির থেকে তালা লাগিয়ে রাখেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অনেক চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলতে দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে জয়পাড়া ক্লিনিকের পরিচালক শফিকুল ইসলাম তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে, তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঐ শিশুর হার্টে সমস্যা ছিল। আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে আসলে বাচ্চার অবস্থার অবনতি দেখে, আমরা ঢাকায় নিয়ে যেতে বলি এবং ঢাকায় নেওয়ার পথে ঐ শিশুর মৃত্যু হয়।

দোহার থানা পুলিশের এসআই বারেকের কাছে মৃত্যুর বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোন কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

আপনার মতামত দিন