দোহারের নতুন কলেজ কোঠাবাড়ি কলেজের প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন

2044

ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের শিলাকোঠা গ্রামের কোঠাবাড়ি কলেজর প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে কলেজ কৃর্তপক্ষ। আজ সারাদেশের বিভিন্নস্থান থেকে আসা প্রায় ১০০জন আবেদন প্রার্থী প্রভাষক পদের জন্য লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষার বিষয়গুলো হলো ইংরেজি, রসায়ন,পদার্থ, বাংলা, আইসিটি, ইসলামের ইতিহাস, পৌরনীতি, সমাজকর্ম, ইসলাম শিক্ষা, জীব বিজ্ঞান, উচ্চতর গনিত, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও কৃষিশিক্ষা। নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম অর্ধে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপর নেয়া হয় ভাইভা। কলেজের সভাপতি এডভোকেট রমজান আলি শিকদার বলেন, আমরা এই কলেজটা অনেক পরিশ্রম দিয়ে দাঁড় করিয়েছি। আমরা চাই ধীরে ধীরে এই কলেজটা বিশ্ববিদ্যালয় রুপান্তর করবো ইনশাআল্লাহ। আমরা আস্তে আস্তে এই কলেজটাকে অনেক দূরনিয়ে যাবো আশাকরি।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের অর্ধক্ষ্য, সভাপতিসহ গভারনিং বডির সদস্য বৃন্দ।

উল্লেখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ কোঠাবাড়ী কলেজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের মাধ্যমে দোহারের শিক্ষাঙ্গণে নতুন ঠিকানা সৃষ্টি হয় দোহারের পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের ‘কোঠাবাড়ী কলেজ’-এর শেকড়। কোঠাবাড়ি কলেজ নামে সাইনবোর্ড স্থাপনের মধ্য দিয়ে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার শিক্ষাঙ্গণে যুক্ত হল আরেকটি নাম, আরেকটি ঠিকানা। নামকরণের সাইনবোর্ড স্থাপনের শুভদিনে শেকড় থেকে শিখরে পৌঁছার অঙ্গীকার সবার মুখে।

অন্য খবর  সাইনপুকুরে ৭ বছর আগের পলাতক আসামী গ্রেফতার

দোহার উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের ইউনিয়ন কুসুমহাটি, মাহমুদপুর, নয়াবাড়ি এবং জয়কৃষ্ণপুরের অধিকাংশ মানুষ নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে যখন বেঁচে থাকার যুদ্ধে অবতীর্ণ, সেখানে সন্তানের উচ্চ শিক্ষার খরচ যোগান দেয়া তো আরও কষ্টসাধ্য। আর সে শিক্ষার জন্য যদি যেতে হয় দূরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাহলে তো মরার উপর খাড়া ঘাঁ’য়ের মতো অবস্থা। এমন প্রেক্ষাপটে উচ্চ শিক্ষা থেকে ঝরে পরে বা বঞ্চিত হয় অনেক শিক্ষার্থী। জড়িয়ে পড়ে অপরাধমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডেও।

এমন অবস্থা থেকে উত্তরনের কথা চিন্তা করে দোহার উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের দুই শিক্ষানুরাগী বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এডভোকেট রমজান আলী শিকদার ও ওর্য়াল্ড ওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরের সাথে সংযুক্ত ও গ্রামীনফোনের সাবেক পরিচালক এবং বর্তমানে রবি আজিয়াটার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার এম এ খান সোহেল। স্বপ্ন দেখেন পশ্চিমাঞ্চলে একটি কলেজ করার। শুরু হয় সবার সাথে আলোচনা। নয়াবাড়ি, কুসুমহাটি ও মাহমুদপুরের সাথে নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর, শিকাড়ীপাড়া এবং বারুয়াখালী ইউনিয়নের সকল শিক্ষানুরাগী ও গন্যমান্য ব্যক্তিরাও একমত পোষণ করেণ তাদের সাথে। যার ধারাবাহিকতায় প্রবল বর্ষণ উপেক্ষা করে সকলের স্বরস্ফুর্ত উপস্থিতিতে নামকরণের সাইনবোর্ড স্থাপণ করা হয় বুধবার বিকেলে। শিলাকোঠা মৌজার অন্তত ১৫ থেকে ২০ বিঘা জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে কলেজটির মূল ক্যাম্পাস। যার মধ্যে ১১ বিঘা জমি ইতোমধ্যে ক্রয়ের প্রক্রিয়া অনেকটা চুড়ান্ত।

আপনার মতামত দিন