পাকা ধানের গন্ধে ম-ম করছে পুরো এলাকা। ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যাস্ত কৃষকেরা।সারা দেশে চলছে ধান কাটার উৎসব।এই উৎসবে মেতেছে দোহারের ধান চাষীরাও।
দোহারে জালের মতো ছড়িয়ে আছে ধানের ক্ষেত। আর এইসব ক্ষেত থেকে প্রতিবছর হাজার-হাজার মণ ধান উৎপাদন হচ্ছে।ভারী বৃষ্টি এবং শিলা বৃষ্টির কারনে প্রতিবছর ধান কাটার বিলম্ব হয় এবং ধানের ক্ষতি হয়। এই বছর এখনও পর্যন্ত সেই ক্ষতির মুখ দেখতে হয়নি এই উপজেলার কৃষকদের।
দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়,প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়।এবং শ্রমিকদের দৈনিক পারিশ্রমিক ৫০০ টাকা।
কৃষক সায়েদ মোল্লা নিউজ৩৯কে বলেন, প্রথমবারের মতো ধান চাষ করেছি।খুবই আশঙ্কার মধ্যে ছিলাম কী হয় না হয়।তবে আল্লাহর রহমতে ধান খুবই ভালো হয়েছে।এবং এই বছর ধানের ভালো দাম পাচ্ছি।তবে ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া একটু কষ্ট হচ্ছে। এ সময় তিনি আরো বলেন ভারী বৃষ্টির আগে ধান কেটে ফেলতে পারলে কৃষকেরা লাভবান হবে।
কৃষকদের এই আমেজকে অটুট রাখতে এবং শ্রমিক সংকট নিরসনে দোহার উপজেলা প্রশাসন এবং দোহার কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের মাধ্যমে সরকারের কৃষি যন্ত্রপাতি সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে কম্বাইন্ড হারভেস্ট মেশিন (আধুনিক ধান কাটার যন্ত্র) কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এই মেশিন দিয়ে ধান কাটা,ঝাড়া,মাড়াই ও বস্তায় ভরা যাবে। করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটে দোহার উপজেলার যে কোন প্রান্তের কৃষক উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে এই মেশিনের সহায়তা গ্রহন করতে পারবে।