বিশ্বখ্যাত কারি ফাতিহ সেফেরাজিক। বসনিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান এ তরুণের সুললিত কণ্ঠে মুগ্ধ সবাই। ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর রয়েছে কয়েক লাখ ফলোয়ার। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, ইসলামী সংগীতসহ নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ইউরোপের দেশগুলোতে তাঁর প্রতিভা দিয়ে তিনি তুলে ধরছেন ইসলামের সৌন্দর্য।
সম্প্রতি কাতার বিশ্বকাপ শুরুর পর দোহার বিভিন্ন স্থানে ফাতিহকে ফুটবল ফ্যানদের কোরআন শোনাতে দেখা গেছে। বিশেষত দোহা মেট্রোতে মরোক্কান ফ্যানদের সামনে তাঁর তিলাওয়াতের ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়। তাঁর কোরআন তিলাওয়াতের পর ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে এক মেক্সিকান ভক্ত ইসলাম গ্রহণ করেন। আর তাঁর এই তিলাওয়াতের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এসব কার্যক্রম ব্যাপক প্রশংসিত হয়ে উঠেছে ।
ফাতিহ সেফেরাজিক ১৯৯৫ সালের ১ মার্চ জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন। সে মাত্র চার বছর বয়সে তাঁর পরিবার যুদ্ধবিধ্বস্ত বসনিয়া ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমায়। পরে ৯ বছর বয়সে তিনি স্থানীয় হিফজ মাদরাসায় পড়া শুরু করেন। এরপর ১৩ বছর বয়সে মেরিল্যান্ড শহরের ইসলামিক সোসাইটি অব বাল্টিমোর থেকে হিফজ সম্পন্ন করেন। তিনি সেখানে শায়খ কারি মুহাম্মদ জাহিদ ও মুহাম্মদ আবিদের তত্ত্বাবধানে কোরআন হিফজ করেন।
এ সময় তাঁর পরিবার বাল্টিমোরেই বাস করত। এরপর তিনি টেক্সাসের ডালাসে ওস্তাদ নোমান আলী খানের বাইয়িনাহ ড্রিম ইনস্টিটিউটে আরবি বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ব্যক্তিজীবনে কানসাস রাজ্যের স্টিলওয়েল শহরের বাসিন্দা আয়াত ইউসুফ তাঁর স্ত্রী।
১৪ বছর বয়সে ইউটিউবে কোরআন তিলাওয়াতের ভিডিও দেওয়ার পর থেকে ফাতিহ সেফেরাজিক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে (Fatih Seferagic) ৯ লাখের বেশি সাবস্ক্রাইবার আছে। এতে তিনি কোরআন তিলাওয়াত ও বিভিন্ন আলোচনা আপলোড করেন। ইনস্টাগ্রামে (therealfatih)১৮ লাখ এবং ফেসবুকে (Fatih Seferagic)২০ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে বলে জানা যায় ।