কেউ বলে ইছামতীর শাখা নদী, কেউ বলে পদ্মার শাখা নদী,তবে যে যাই বলুক নদীটির নাম “হিলশামারী” এটি এসেছে মূলত পদ্মা নদী থেকেই। কার্তিকপুরের মঈনট থেকে পদ্মার একটি শাখা বেড়িয়ে তা জামালচরের মধ্য দিয়ে লটাখোলা জুনিয়র হাই স্কুলের পাশ দিয়ে লটাখোলা হয়ে জয়পাড়া বাজারের পাশ দিয়ে খালপাড় বৌ-বাজার হয়ে সাহেবখালী দিয়ে আড়িয়াল বিলে পড়েছে।
এই চলার পথে নানা স্থানে নানান ভাবে দূষণের শিকার হয়েছে এই নদীটি। নানা রকম বর্জ্য বিশেষ করে জয়পাড়া ও তার আশে পাশে অবস্থিত প্রায় সবকটি ক্লিনিকের নানারকম বিষাক্ত বর্জ্য গোপনে ফেলা হচ্ছে এই নদীতেই। ব্রিজের উপর থেকেই দেখা যায় গরু জবাই করার পর তার সমস্ত বর্জ্যই সরাসরি ফেলা হয় এই নদীতে।ফলে একদিকে যেমন দূষিত হচ্ছে নদীর পানি, অন্যদিকে নদীর পানিতে গোসল করার ফলে নানারকম পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নদী তীরবর্তী এসব এলাকার জনগণ। একটা সময় নদীতে দেখা যেত জেলেরা জাল ফেলে,বিভিন্ন স্থানে ভেসাল পেতে মাছ ধরছে কিন্তু পানি দূষিত হবার কারণে মাছ পাওয়া যায়না এখন তাই মাছ ধরার দৃশ্য ও আর দেখতে পাওয়া যায়না।
সম্প্রতি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মান হচ্ছে। কিন্তু সেই ড্রেনের ময়লা ফেলা হবে নদীতে। এ বিষয়ে পৌর পিতা আব্দুর রহিম চেয়ারম্যান নিউজ ৩৯ কে জানান, “ড্রেনের ময়লা নদীতে ফেলা হবে এতে কোন সমস্যাই,ক্লিনিকগুলোর বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে এ নিয়ে আমরা বেশ চিন্তিত। এর আগে আমরা ক্লিনিকগুলোর মালিকদের বিষয়টি অবগত করেছি,আমাদের ভাবনায় আছে নদীতে যাতে ক্লিনিকগুলোর বিষাক্ত বর্জ্য ফেলতে না পারে।” তবে তারা এ বিষয়ে কবে নাগাদ ব্যবস্থা নেবেন সে কথা কিছু জানানি দোহার পৌরসভা।