দীর্ঘগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি

507
দীর্ঘগ্রাম

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নে একটি  সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ভোগান্তি পোহাচ্ছে দীর্ঘগ্রামসহ প্রায় ২০টি গ্রামের অধিবাসী । উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১৬ কি.মি পশ্চিমে এই গ্রামের অবস্থান ।প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার লোকের বসবাস এই গ্রামে কিন্তু লাগেনি তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া।গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে একটি খাল। এ খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ন কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন দিয়ে চলাচল করছে এ গ্রামসহ ১০/১২টি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দারা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ,খালের উপর তৈরী সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধওে জরাজীর্ণ  অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেতুটির সংস্কারের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে হাঁট,বাজার,স্কুল,কলেজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাতায়াত করতে হচ্ছে।মাঝে মাঝে ঝুঁকি নিয়েই কাঠের সাঁকো দিয়ে খাল  পারাপার হচ্ছে স্কুল,কলেজ ,মাদরাসার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী এতে করে কখনো কখনো তারা দুর্ঘটনার  শিকার হতে হচ্ছে । এলাকাবাসী জানায়,দীর্ঘগ্রাম খালের ওপর একটি সেতু  নির্মাণ  দীর্ঘদিনের দাবি এলাকাবাসীর ।

নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতুটি সংস্কারের আশ্বাস দিলেও এ পর্যন্ত কেউ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। গত ৫/৬ বছর ধরে সেতুটি এই অবস্থায় পড়ে আছে। দুর্ভোগ ছাড়া কিছুই জুটেনি প্রত্যন্ত অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যে।

অন্য খবর  দোহারে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

স্থানীয় বাসিন্দা মো.হাসান জানায়,এ সাঁকো দিয়ে হেঁটে চলাচল করলেও কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।

স্থানীয় গৃহিণী সালমা বেগম বলেন বর্ষা মওসুমে রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায় ।এ সাঁকো সংস্কার হলে তাদের দুঃখ-কষ্ট অনেকটা কমবে। এই কাঠের সাঁকোর ওপর দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। যার কারনে অসুস্থ কোন রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হলে নেওয়া যায় না যার ফলে রোগীর অবস্থা আরও অবনতি হয ।

দীর্ঘগ্রাম সরকারী প্রাথমিক ও জৈনতপুর আশরাফুল উলূম মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এ সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে।

দীর্ঘগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন,তার স্কুলে যেতে শিক্ষার্থীদেরও কাঠের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। ফলে অনেকেই  অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সিদিকুর রহমান বলেন ,এই সেতু তৈরি হলে আমরা আরও বেশি শিক্ষার্থী পাবো।

আপনার মতামত দিন