ফয়সাল /আশিক/রাকিব, নিউজ৩৯: আগামী বছরই হতে পারে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল। বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয় ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। গঠনতন্ত্র-গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ৩ বছর পরপর বাধ্যবাধকতা রয়েছে কাউন্সিলের। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের হামলা-মামলা, দমন-পীড়নসহ নানা বাধায় সেটি করতে পারেনি দলটি।
এই ব্যাপারে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক বলেন, নির্বাচনের আগেই বিএনপির কাউন্সিল হতে পারে। এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতারা আলাপ-আলোচনা করে দেখছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতেই আমরা কাউন্সিল করতে চাই।
তিনি বলেন, ‘দলের খারাপ সময়ে যারা পাশে ছিল, দেশের জন্য কাজ করেছে তাঁরা ওপরের দিকে উঠে আসবে এটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যেমন ঘোষণা দিয়েছেন, এটা আমাদেরও দাবি।’
এবার দলটি নির্বাচনের আগেই জাতীয় কাউন্সিল করতে চায়। শীর্ষ পদে পরিবর্তন না এলেও স্থায়ী কমিটিসহ নানা পর্যায়ে নতুন মুখের দেখা মিলবে বলে জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আর এক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নিতে পর্যালোচনা করা হবে গত ১৬ বছরের আমলনামা। সেই আলোকেই নতুন আঙ্গিকে ভোটে যাবে দলটি। ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে ৩ ও ৩৭ ভাইস-চেয়ারম্যানের মধ্যে ৯টিসহ সব মিলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ শূন্য প্রায় ১৩০টি। এছাড়া পুরো কার্যকর হয়নি এক নেতার এক পদ নীতি। তৃণমূলের নেতাদের প্রত্যাশা—কাউন্সিলের মাধ্যমে যোগ্যদের দিয়েই পূরণ করা হোক শূন্য পদ।