দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা পাচ্ছে এদেশের বিরোধী দল: ওবায়দুল কাদের

127

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা ভোগ করছে। বিরোধী নেতারা যখন যেখানে খুশি অবাধে যাচ্ছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন। সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে অশ্রাব্য ভাষায় কথাবার্তা  বলছেন। এরপরও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ কতটা গ্রহণযোগ্য, তা বিচারের ভার দেশবাসীর হাতে ছেড়ে দেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উত্থাপিত নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগের জবাবে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত শোক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুব মহিলা লীগ এই সভার আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই দেশে বিরোধী দল যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাচ্ছে, আমার তো মনে হয় না দক্ষিণ এশিয়ায় এত ভালো নিরাপত্তা আর কোনও দেশের আছে।’

বাংলাদেশের রাজনীতিতে অমানিশা চলে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে যদি অমানিশা চলে, তাহলে আমি বলবো বিএনপির রাজনীতিতে অমানিশা চলছে। তারা এখন দিশেহারা পথিকের মতো ছুটে বেড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। তারা যে ভাষায় কথা বলে, সেটা রাজনীতি বা গণতন্ত্রের ভাষা নয়।’

অন্য খবর  ঢাকা-১ আসনে সালমান এফ রহমানের মনোনয়নপত্র দাখিল

সভা-সমাবেশে বাধা নেই

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কাউকে কোনও হুমকি দেওয়া হচ্ছে না। সভা-সমাবেশ করার জন্য কোনও প্রকার হুমকি সৃষ্টি করছে না সরকার। এখন কেউ যদি সভা-সমাবেশ ডেকে ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখেন, তাহলে কার কী করার আছে। মির্জা ফখরুল ইসলামরা নিজেরাই নিজেদের গুটিয়ে ফেলেছেন। আন্দোলন করার সৎ সাহস তাদের নেই।’ দেশে এখন আন্দোলন করার মতো কোনও সাবজেক্টিভ কিংবা অবজেক্টিভ কন্ডিশন নেই বলেও এ সময় দাবি করেন কাদের।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আওয়ামী লাগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘যারাই রোহিঙ্গা ইস্যুতে পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা করছে, তাদের ওপর নজর রাখছে সরকার। যথা সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  যারা ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে কোনোদিন যাবে না’ বলে বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন—বাংলাদেশ কি প্যালেস্টাইন হয়ে যাচ্ছে? এটা সম্পূর্ণ অবাস্তব বক্তব্য। এটা নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনও বিষয় নেই। রোহিঙ্গারা নিজ ভূমিতে পরবাসী। এখন তারা আমাদের এখানে আছে, তারা যাতে তাদের ভূমিতে ফিরে যেতে পারে, সে ব্যাপারে সরকার কাজ করছে।”

যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন—আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুন্নাহার রত্না, কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি প্রমুখ।

আপনার মতামত দিন